আর কয়েক দিন পরেই দুর্গাপুজো। পুজোর আগে নিজেকে সাজাতে অনেকেই অনেক কিছু করেন, চুলে স্পা করান, হেয়ার স্ট্রেটনার করান, নখের উপ নেলআর্ট করান। এমনকি স্লিম হতে জিমে ভরতি হওয়া থেকে ডায়েটও শুরু করেন। পুজোয় অন্যদের থেকে আলাদা সাজতে অনেকে আবার সাহসী পদক্ষেপ নেন। যদিও ট্যাটু (Tattoo) এখন নতুন কিছু নয়। তবুও ট্যাটু করানো বেশ সাহসী পদক্ষেপ। কারণ ট্যাটু করানোর জন্য একজন ব্যাক্তিকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হয়। কারণ, ত্বকের সূচ ফুটিয়ে অঙ্কন করা কোনও সহজ কাজ তো নয়। উলকি শুধুমাত্র একটি সূচক হিসেবে নয়, অনেক সময় ব্যক্তির ব্যক্তিত্বের অংশও মাত্র।
ট্যাটু (Tattoo) তো করালেন, কিন্তু ত্বকের যত্নের জন্য ট্যাটু করানোর আগে ও পরে কীভাবে পরিচর্চা করবেন, তা জেনে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
– ট্যাটু করানোর ৪৮ ঘণ্টা আগে নেশা জাতীয় কিছু সেবন করবেন না। মদ্যপানের মাধ্যমে শরীরে অ্যালকোহল বা ক্যাফিন থাকে। এই দুটি জিনিসই রক্তকে পাতলা করে দেয়। এই কারণে, ট্যাটু করার সময় আপনার বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারেন।
– ট্যাটু করানোর অন্তত এক সপ্তাহ আগে এবং পরে প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল পান করুন। এই পদ্ধতিতে নিজেকে হাইড্রেটেড রাখা সম্ভব। এছাড়া আপনার ত্বককে দাগহীন এবং নমনীয় করে তোলে। ট্যাটু করার সময় এটি আপনাকে কম ব্যথা দিতে পারে।
– ট্যাটু করার আগে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি। কম খাবার খেলে মাথা ঘোরা, বমির মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সঙ্গে চিনির মাত্রা কমে গিয়ে আরও ব্যাথার সৃষ্টি হয়।
– ট্যাটু করানোর আগে আলগা ও গাঢ় পোশাক পরুন। ট্যাটু করানোর সময় সেই পোশাক আপনাকে আরাম দিতে পারে ও স্বাচ্ছন্দ্যে বসতে সাহায্য করবে।
– ট্যাটু করানোর পর যে জায়গায় করিয়েছেন, সেই জায়গাটি পরিস্কার রাখুন। মনে রাখবেন ট্যাটুর রঙ বা ট্যাটুর আপনার ত্বকের একটি ইন্টেন্টেশন হিসেবে বিরাজ করছে, যা সংক্রমণের সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে। ট্যাটু করানোর পর কিছু সময়ের জন্য ভালভাবে ঢাকা গিয়ে রাখুন।
– ট্যাটু করানোর পর, ট্যাটু শিল্পীকে ক্রিম , তেল বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে দিতে বলতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ওই তেল বা জেল ব্যহার করতে পারেন। তাতে ত্বক আর্দ্র থাকে ও সুরক্ষিত থাকে।
আরও পড়ুন: Skin Care: যে কোনও মরসুমে ত্বককে সুস্থ ও সতেজ রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
আরও পড়ুন: Hair Care Regime:বিয়েতে শুধু কনে কেন, পাল্লা দিতে তৈরি এবার পুরুষরাও!