ত্বক বলতে শুধু মুখের ত্বক নয়, সারা শরীরে ত্বকের জন্যই চাই বিশেষ পরিচর্চা। তার মধ্যে হাত হল অন্যতম একটি অংশ। নরম ও মসৃণ হাত অনেকেই স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন শুধুমাত্র কয়েকজনেরই হয়ে থাকে। দৈনন্দিন কাজকর্ম করার সময়, দূষণে, বারবার স্যানিটাইজার ব্যবহারের ফলে হাতের ত্বকের চরম ক্ষতি হয়। শক্ত ও রুক্ষ প্রকৃতির হাতের ত্বককে কীভাবে কোমল ও সুন্দর রাখবেন তার কয়েকটি টিপস জেনে রাখুন।
হাতের যত্নের টিপস
আপনার হাতের যত্ন নেওয়ার কিছু উপায় এখানে দেওয়া হল, দেখে নিন একঝলকে…
হাত সবসময় পরিস্কার রাখুন- এ ব্যাপারে যদি যথেষ্ট সতর্ক না হোন, তাহলে হাতের তালুতে মাইক্রোবায়োম জমা হতে থাকে। সারাদিন ধরে নানা জায়গায় স্পর্শ করায় ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য ক্ষতিকর জীবাণু বহন করার প্রবণতা তৈরি হয়। যা শরীরের জন্য অন্যন্ত ক্ষতিকর। পিএইচ লেভেল বজায় রাখার জন্য হাত পরিস্কার করতে মাইল্ড সাবান ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও ত্বকের মৃতকোষ থেকে মুক্তি পেতে এক্সফোলিয়েট করতে ভুলবেন না যেন।
ভালভাবে হাইড্রেট করুন- শরীরের অন্য যে কোনও ত্বকের মতোই হাত ও হাতের চারপাশের অঞ্চলগুলিতে নিয়মিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা প্রয়োজন। শুষ্ক হয়ে যাওয়া ও হাতের ত্বকে ফাটল ধরার সমস্যা থাকলে হাইড্রেট করা উচিত। তাতে হাতের ত্বক নরম ও কোমল থাকে।
যে কোনও ক্ষতি থেকে হাতের ত্বককে রক্ষা করুন- আর্দ্র আবহাওয়ার সময় হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা, শীতকালে গ্লাভস পরা, গরমকালে বারবার ঘাম জমে যাওয়া-এই সব সমস্যা থেকে নিজেকেই ত্বকের পরিচর্চা করতে হবে।
অকাল বার্ধক্য থেকে ত্বককে বাঁচান- বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলি হাতেও দেখা যায়। সঠিক যত্নের অভাবে হাতেও বলিরেখা দেখা যায়। হ্রাস পায় হাতের লাবণ্য। হাত পরিস্কার রাখা, হাইড্রেট রাখা, নাইট ক্রিম ব্যবহার করা, সানস্ত্রিন লাগানো এই সব অকাল বার্ধক্য থেকে বাঁচাতে পারে।
নখের যত্ন নিন- নখের গোড়ায় কিউটিকলসের যত্ন নিন। নখের পরিচর্চা করতে গিয়ে অনেকেই কিউটিকল কেটে ফেলেন। এটি একেবারেই করবেন না। নখ বেশি বৃদ্ধি করবেন না। ভালভাবে ময়েশ্চারাইজ করুন ও যত্ন নিন।
আরও পড়ুন: Makeup: একটি মেকআপ পণ্যেই হবে কেল্লাফতে! কোন জিনিসটি সঙ্গে অবশ্যই রাখবেন, কীভাবে ব্যবহার করবেন?