আমাদের দেশে শীতের স্থায়িত্ব বড়ই কম। অধিকাংশ সময় জুড়েই বিরাজ করে গ্রীষ্ম। যে কারণে সকলেই আরামদায়ক পোশাকের খোঁজ করেন। আর গরমে আরামদায়ক পোশাক পরার প্রাথমিক শর্ত হল হাত এবং বগল একেবারে পরিষ্কার রাখা। ঘাম বসে গেলে বগলে কালো দাগ হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দুর্গন্ধ তো থাকেই। এছাড়াও জামাতেও ছোপ পড়ে। Dark Underarms- নিয়ে কথা বলতে অনেকেই লজ্জা পান। যদিও বিষয়টির মধ্যে লজ্জা পাওয়ার কিছুই নেই। কারণ, এটা আমাদের শরীরের খুব সাধারণ একটা বিষয়। নানা কারণে বগলে কালো ছোপ পড়ে। এই কালো ছোপ সহজেই তুলে ফেলা যায়। আমরা মুখ নিয়ে যতটা সচেতন ততটা কিন্তু এই বগল নিয়ে সচেতন নই। বগল আরও অনেক বেশি সেন্সেটিভ। যে কারণে ওয়াক্সিং করতে গেলেও লাগে। আর তাই প্রথমেই যে কাজ করতে হবে তা হল- লোম তুলতে কোনও ভাবেই রেজার ব্যবহার করা যাবে না। সব সময় স্ট্রিপ ব্যবহার করতে হবে। সেই সঙ্গে দাগ তুলতে যে সব ঘরোয়া টোটকা মেনে চলবেন-
একটি বাটিতে বেসন, হলুদ মিশিয়ে নিন। এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। সবশেষে এক চিমটে অ্যালোভেরা জেলও মেশান। এই প্যাক বগলে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর ঘষে ইষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। এতেও দেখবেন অনেক কাজ হয়।
এছাড়াও খুব ভাল কাজ করে বেকিং সোডা। বেকিং সোডা আর নারকেল তেল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিন। এবার তা ভাল করে লাগিয়ে নিন বগলে। ১০ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। এরপর কোনও ময়েশ্চারািজার লাগিয়ে নিন।
নারকেল তেল ত্বকের জন্য খুবই ভাল। ত্বককে নরম রাখে। এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন পাতিলেবুর রস। এছাড়াও নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই। আর লেবু কাজ করে প্রাতিক ব্লিচ হিসেবে। এই দুই উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে বগলে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। খুব ভাল ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে এই প্যাক। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চামচ ব্রাউন সুগার মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ বগলে ভাল করে লাগিয়ে রাখুন। ২ মিনিট স্ক্রাব করে ধুয়ে ফেলুন। এতে বগলের কালো দাগ-ছোপ সহজেই উঠে আসে।