
দোলের রঙের রঙিন হতে কে না ভালবাসে? এই দিনে সব কাছের মানুষ ও প্রিয়জনের সঙ্গে রঙ, আবির নিয়ে খেলা করা, দেখা করা, দেদার খাবার খাওয়ার আনন্দই আলাদা। হোলির আনন্দ যত সুন্দর হয় তেমনি পরের দিনটি ততই ভীতিকর হয়। একগুঁয়ে রঙ যেতে অস্বীকার করে, একগুঁয়ে হ্যাংওভার আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলতে পারে। শুধু তাই নয়, ক্ষতিকারক রং থেকে ত্বকে অনেক সময় পোড়া দাগও তৈরি হয়। আর সেই ত্বকের জ্বালাভাব যে কী কষ্টকর, তা বলার নয়।
রায়াসনিক রঙে ত্বকের পোড়া দাগের সমস্যা যদি সবচেয়ে সহজ উপায় জানতে চান. তাহলে এই কয়েকটি জরুরি টিপস অবশ্যই মেনে চলুন…
কাঁচা দুধ- যে কোনও ধরনের ত্বকের পোড়া ও জ্বালাভাব দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়। মুখ,ঘাড় বা অন্যান্য উন্মুক্ত অংশে ঠান্ডা কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। কাঁচা দুধ শুধু ত্বককে প্রশমিত করে তাই নয়, রঙ অপসারণেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। সারাদিন রোদে থাকা পর ত্বকের উপর ট্যান পড়ে যায়। ট্যান রিমুভার হিসেবে কাঁচা দুধ খুব ভাল উপকরণ।
অ্যালোভেরা- একটি পাত্রের মদ্যে অ্যালোভেরা জেল ও অল্প পরিমাণ গোলাপ জল দিয়ে পাতলা করে নিন। এবার এই ফেসপ্যাকটি কয়েক ঘণ্টার জন্য ফিজে রেখে দিন। এবার ঠান্ডা এই ফেসপ্যাক কিউব আকারে কেটে ত্বকের উপর ব্যবহার করুন। তাতে ত্বকের জ্বালাভাব ও পোড়া দাগ মেরামত করতে সাহায্য করে। এছাড়া ত্বক হাইড্রেট করতে ও নিস্তেজ করতে সাহায্য করে।
দই- একটি বাটিতে ঠান্ডা দই ও এক চিমটে দই নিন। এরপর সেই প্যাক গোটা ত্বকের উপর প্রয়োগ করুন। শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন ও দইয়ের বাটিতে থাকা প্যাকটি শেষ না হওয়া পর্যন্ত ত্বকের উপর লাগিয়ের রাখুন। ত্বককে হাইড্রেট করতে ও পোড়া দাগের জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে।
কলা- অতিরিক্ত পেকে যাওয়া কলা নিন। এবার সেটি হাত দিয়ে বা কাঁটাচামচ দিয়ে চটকে মেখে নিন। এবার সেই চটকানো কলার মধ্যে দুধ বা গোলাপ জল মিশিয়ে পাতলা ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এই ফেসপ্যাকটি সারা ত্বকে লাগিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রেখে দিন। ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর ত্বক হাইড্রেটিং করতে জেল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। ত্বকের যে কোনও সমস্যার জন্য কলা বেশ উপকারী উপকরণ।
সবচেয়ে ভাল ফেসপ্যাক তৈরি করবেন কীভাবে
রঙের কারণে ত্বকের মধ্যে যদি জ্বালাভাব ও পোড়ার সমস্যা তৈরি হয়, ও গুরুতর র্যাশেস বের হয় তাহলে ঘরোয়া উপায়েই তা সমাধান করতে পারবে…
– একটি শসার খোসা ছাড়ি ব্লেন্ড করে নিন।
– ভাল করে ব্লেন্ড করা হলে ট্রি টি অয়েলের কয়েকফোঁটা যোগ করে আবার একবার ব্লেন্ড করুন।
– এই পিউরিটি এবার আইস কিউবের মত করে ঠান্ডা করে নিন। এরপর জমে গিয়ে কিউবের আকার ধারণ করলে ত্বকের ব্যবহার করতে পারবেন।
– ফ্রিজে রেখে মাস্কের মত লাগাতে পারেন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন : Holi 2022: দই-আলু-টমেটো-পেঁপে দিয়েই হবে ত্বকের যত্ন! হোলি-পরবর্তী স্কিনকেয়ারে থাকুক ঘরোয়া ছোঁয়া