করোনা প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে আবার বন্ধ করা হয়েছে জিম থেকে শুরু করে পার্লার। একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে পার্লার বন্ধে সমস্যা পড়েছে মালিক থেকে গ্রাহক। বিশেষত মহিলাদের এমন অনেক কাজই এখন বাড়িতে করতে হচ্ছে, যা আগে তাঁরা পার্লারে গিয়ে করাতে অভ্যস্ত ছিলেন। এর মধ্যে একটি হল আপার লিপ হেয়ার রিমুভাল (Upper Lip Hair Removal)। আগে থ্রেডিংয়ের (Threading) মাধ্যমে আপার লিপের অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেলা যেত। কিন্তু পার্লার বন্ধ থাকার কারণে এই কাজও এখন করতে হচ্ছে বাড়িতে। কিন্তু সবার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না ঠোঁটের ওপরের অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেলা। এই জন্য আমরা নিয়ে এসেছি সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি (Home Remedies), যা ব্যবহার করে আপনি সহজেই ঠোঁটের ওপরের অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেলতে পারবেন।
রেজারের ব্যবহার
রেজার ব্যবহারের পর ঘন ও কালো লোম আসতে শুরু করে। এটাই সবচেয়ে বড় একটা মিথ। ২০০৭ সালে এনসিবিআই-তে প্রকাশিত ‘মেডিকেল মিথস’ নামে একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল যে শেভিং লোমের বৃদ্ধি বা ঘনত্বে কোনও প্রভাব ফেলে না। আপনি যদি শেভিং রেজার ব্যবহার করতে না চান, তাহলে ফেসিয়াল রেজারও ব্যবহার করা যেতে পারে। আপনি এটি অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন।
ওয়্যাক্স স্ট্রিপ
ফেস ওয়াক্সিং করার জন্য বাজারে আলাদা স্ট্রিপ পাওয়া যায়। আপনি চাইলে অনলাইনেও অর্ডার করতে পারেন। এগুলিকে শুধু মুখের ওপরই ব্যবহার করা যায় এবং সাধারণ ওয়্যাক্স স্ট্রিপগুলি যেভাবে টানা হয়, এগুলিও সেভাবেই টেনে তুলতে হবে। এটি আপনাকে উপরের ঠোঁটের ওপরের অবাঞ্চিত লোম থেকে তাৎক্ষনিক মুক্তি দেবে। এটি ব্যবহার করার পর আপনি ঠোঁটের ওপর বরফ লাগাতে পারেন যাতে কোনও র্যাশ না বের হয়।
সুগারিং
সুগারিং পদ্ধতি গরম মোমের মতোই কাজ করে। আপনি বাড়িতে এই সমাধান প্রস্তুত করতে পারেন। এর জন্য আপনার প্রয়োজন হবে মধু, চিনি, লেবুর রস এবং জল। এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে গরম করুন এবং গলে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। এটি ঘরের তাপমাত্রায় আসতে দিন এবং তারপর ঠোঁটে লাগান। এটির উপর একটি কাপড় রাখুন এবং একটি স্ট্রিপের মত টেনে তুলে ফেলুন। এতে আপনি সহজেই অবাঞ্চিত লোম তুলে ফেলতে পারবেন।
চিমটির ব্যবহার
বাজারে আপনি সহজেই চিমটি পেয়ে যাবেন। এটি দিয়ে, আপনি ঠোঁটের ওপরের অবাঞ্চিত লোমগুলি টেনে তুলতে পারেন। এই পদ্ধতিটি কিছুটা বেদনাদায়ক, কারণ আপনি মূল থেকে একের পর এক লোম টেনে তুলছেন। এটি করার পর যদি ওপরের ঠোঁটের অংশ লাল হয়ে যায়, তাহলে বরফ লাগান বা ঠান্ডা অ্যালোভেরা জেল প্রয়োগ করুন। ত্বকে রাসায়নিক ভিত্তিক কোনও পণ্য প্রয়োগ করা এড়িয়ে চলুন।
আরও পড়ুন: কোনও ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না ফ্রিকেলসের সমস্যাকে? বেছে নিন ঘরোয়া প্রতিকার