Loofah: রোজ স্নানের সময় লোফা ব্যবহার করলে ত্বক খসখসে হয় এমনকী ছড়েও যায়, ব্যবহারের আগে যা কিছু জেনে রাখা জরুরি
Skin Care Tips: লোফা যখন দিনের পর দিন ব্যবহার করা হয় তখন ত্বকে নানা রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়, ত্বক লাল হয়ে যায়
আগেকার দিনে ছেলে-মেয়ে নির্বিশেষে স্নানের সময় পুকুরপাড়ে বা কলতলায় ছোবড়া দিয়ে গা ঘষে পরিষ্কার করার রীতি ছিল। গায়ে সাবান মেখে রীতিমতো ছোবড়া বা পুরুলজালি দিয়ে ঘষে গা পরিষ্কার করা হত। এতে ময়লা ছাড়ত ঠিকই কিন্তু তার সঙ্গে গা-হাত ছড়েও যেত। সেই ছোবড়ার আধুনিক সংস্করণ হল লোফা। আজকাল অধিকাংশই সাবানের পরিবর্তে শাওয়ার জেল ব্যবহার করেন। আর লোফা ছাড়া শাওয়ার জেল ব্যবহার করা যায় না। রোজ এই লোফা দিয়ে গা ঘষলেই যাবতীয় ময়লা উঠে আসে। লোফা ব্যবহার করলে ত্বকের উপর যে মৃত কোষ থাকে তা উঠে আসে। ঘষে ঘষে ময়লা, মৃত চামড়া তুলে ফেলতে এই লোফা খুবই কার্যকরী।
এছাড়াও রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতেও কাজে আসে লোফা। লোফা স্নানের পর ঠিক ভাবে ধুয়ে রাখতে হয়। শুকনো হলে তবেই কিন্তু ব্যবহার করা উচিত। একই বাড়িতে একটা লোফা সকলে মিলে ব্যবহার করেন। এতে কিন্তু ক্ষতি সবচাইতে বেশি।
এই লোফা ব্যবহারের বেশ কিছু ক্ষতিকর দিকও রয়েছে। লোফা আমাদের বাথরুমেই রাখা থাকে। ফলে লোফা শুকোতে অনেক সময় লাগে আর সেখানে রোগ-জীবাণু বাসা বাঁধার সুযোগ পায়। সেই লোফা যখন দিনের পর দিন ব্যবহার করা হয় তখন ত্বকে নানা রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল হয়ে যায়, ত্বক লাল হয়ে যায়। অনেক সময় চুলকানির সমস্যাও কিন্তু হতে পারে। তাই স্নানের পর লোফা যাতে ঠিকভাবে শুকিয়ে যায় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও একটা লোফা ৬ মাসের বেশি ব্যবহার করাও ঠিক নয়। নইলে ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়।
এছাড়াও লোফা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করুন। টানা করবেন না। একটা লোফা তিন থেকে চার সপ্তাহ ব্যবহার করার পর অন্য লোফা ব্যবহার করুন। আর লোফা কিনে এনে আগে জলে ফুটিয়ে নিতে ভুলবেন না। নিজের লোফা নিজেই ব্যবহার করবেন, অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দেবেন না। আর লোফায় যাতে সাবান লেগে না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন। স্নানের পর লোফা বাথরুমে না রেখে রোদে শুকিয়ে নিন। তবেই কিন্তু তা পরবর্তীতে ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে।