Hair Care Tips: প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কোমল ও মসৃণ করতে এই তেলের কোনও বিকল্প নেই! কীভাবে ব্যবহার করবেন, জানুন

Natural Remedies: কীভাবে চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন, চুলের কোন কোন সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে এই তেল, জেনে নিন এখানে...

Hair Care Tips: প্রাকৃতিক উপায়ে চুল কোমল ও মসৃণ করতে এই তেলের কোনও বিকল্প নেই! কীভাবে ব্যবহার করবেন, জানুন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 21, 2022 | 4:13 PM

পুরুষ ও মহিলা, উভয়ক্ষেত্রেই চুল ব্যক্তিত্ব গঠনে প্রাথমিক ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাজার চলতি অসংখ্য পণ্য রয়েছে, যা চুলের জন্য স্বাস্থ্যকর (Healthy Hair Care) বলে বিক্রি করা হয়। সেই স্বাস্থ্যকর উপাদানগুলির মধ্যে অন্যতম হল অলিভ অয়েল (Olive Oil)। এর রয়েছে আশ্চর্যজনক বৈশিষ্ট্য, যা মাথার ত্বক ও চুলের জন্য অসংখ্য স্বাস্থ্য-সুবিধা প্রদান করে। রান্নাঘরের ব্যবহার ছাড়াও অলিভ অয়েল চুলের পরিচর্চার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিকার বলা যেতে পারে। বহু বছর ধরে চুলের যত্নের জন্য এই বিশেষ তেল ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলকে সতেজ ও চাঙ্গা করে তুলতে, উজ্জ্বল ও পুনরুজ্জীবিত করে তোলার মোক্ষম বৈশিষ্ট্য রয়েছে এই তেলের মধ্যে। কীভাবে চুলের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন, চুলের কোন কোন সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে এই তেল, জেনে নিন এখানে…

গ্রোথ বুস্টার

অলিভ অয়েল ব্যবহারের ফলে হরমোন ডাইহাইড্রোটেস্টোস্টেরন মাথার ত্বকে জমাট বাঁধতে পারে না। তার ফলে চুলের বৃদ্ধি ও চুলের স্বাস্থ্যকে উত্‍সাহিত করে। অলিভ অয়েল অ্যান্টিফাঙ্গাল গুণে পূর্ণ। চুলে হাইড্রেটিংয়ের জন্যও সেরা উপকরণ এটি।

কন্ডিশনিং

মাথার ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে ও শুষ্কতা প্রতিরোধ করতে অলিভ অয়েল অত্যন্ত কার্যকরী উপাদান। চুলের সমস্ত প্রয়োজনীয় উপাদান অলিভ অয়েল দিয়ে তৈরি। চুলের সঠিক পুষ্টি, কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে। চুলকে নরম ও মসৃণ করতে, হাইড্রেট করতে, চুলের গোড়া মজবুত করতে অলিভ অয়েলের বিকল্প নেই।

যে কোনও ক্ষতি থেকে প্রতিরোধ করে

অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা চুলের রক্ষাকবচ হিসেবে এই তেলের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। চুলের যথেষ্ট সুরক্ষিত রাখার জন্য চুলের বৃদ্ধি ও উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়া চুলের আগা ভেঙে যাওয়ার মত সমস্যাকেও দূর করে নিমেষে।

খুশকির সমস্যা তাড়ায়

অলিভ অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য, যা একটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। মাথার ত্বকে খুশকি ও শুষ্কতা দূর করতেও সাহায্য করে। অলিভ অয়েলে থাকা কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুশকির কারণে যে জ্বালাভাব, চুলকানি ও প্রদাহ তৈরি হয়, তা প্রশমন করতে সাহায্য করে।

ঝলমলে চুলের জন্য

অলিভ অয়েল ব্যবহারে চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা বজায় থাকে। তাতে চুল হয় মসৃণ ও ঝলমলে। চুল ঝরে যাওয়ার সমস্যা কমাতে অলিভ অয়েলের জুড়ি নেই। স্বাস্থ্যকর ও ঝলমলে করে তুলতেও অলিভ অয়েল ব্য়বহার করতে পারেন। এতে রয়েছে স্কোয়ালিন ও ওলিক অ্যাসিডের মত উপাদান, যা চুলের স্থিতিস্থাপকতা বাড়ায় ও বিভক্ত হওয়া প্রতিরোধ করে।

অলিভ অয়েল ব্যবহার করবেন কীভাবে?

-শুষ্ক চুলের জন্য, একটি প্যানে কিছু পরিমাণ অলিভ অলেল নিয়ে হালকা গরম করুন। এবার আপনার চুলে ওই তেল প্রয়োগ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাতের আঙুলের ডগা দিয়ে আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর চুলে আরও ১৫থেক ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর রোজকার শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

– হেয়ার মাস্ক হিসেবও এই তেল ব্যবহার করা হয়। অ্যাভোকাডো বা ডিমের সাদা অংশ নিয়ে তাতে এক টেবিলস্পুন অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এরপর মাস্কটি মাথার ত্বক থেকে শেষ পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন। সাধারণ জল গিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

– কন্ডিশনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। মসৃণ, চকচকে চুলের জন্য, শুকনো চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে অলিভ অয়েল প্রয়োগ করুন। একটি তোয়ালে নিন। সেটি হালকা গরম জলে ভিজিয়ে নিয়ে অল্প নিংরে নিন। এবার সেই ভেজা তোয়ালে মাথায় মুড়িয়ে আধঘণ্টা রেখে দিন। ঘরোয়া উপায় স্টিম নিলে চুল হয় মসৃণ ও চকচকে। এছাড়া চুলের গোড়াতেও তেলের পুষ্টির জোগান হয়, তাতে চুল থাকে হাইড্রেটেড ও কন্ডিশনড।