শীতকালে তাপমাত্রা হ্রাসের কারণে ত্বকের চকচকে ও উজ্জ্বলতা হারিয়ে যায়। প্রতিদিন ত্বকের পরিচর্চা না করলে তা আরও গুরুতর হয়ে যেতে পারে। ত্বকের এই রুক্ষতার কারণে ঘুম উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ নেই। কারণ ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনার ত্বকের মতো চুলেরও ক্ষতি হওয়ার কারণ রয়েছে।
বাইরের ঠান্ডা বাতাস আসলে আপনার চুলের আর্দ্রতা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে চুল আরও শুষ্কর ও ভঙ্গুর দেখায়। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আপনার চুল পর্যাপ্ত অর্দ্রতা শোষণ বা ধরে রাখা বন্ধ করে দিতে পারে। যা দুর্বল করে তুলতে পারে ও চুলের ক্ষতি হতে পারে। চুলের সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু ব্যয়বহুল চুলের যত্নের পণ্য কেনার কথা ভাবলে শীতকালে চুল পড়া বন্ধ করার জন্য তা সেরা সমাধান হতে পারে না। আয়ুর্বেদশাস্ত্র অনুসারে, আমলার তেল দেওয়া বা ডায়েটে কিছু প্রাচীন প্রতিকার ব্যবহার করলে চুলের জন্য কার্যকর হতে পারে।
শীতে শুষ্ক চুলকে মসৃণ ও উজ্জ্বল করার সহজ ঘরোয়া প্রতিকার
কিছু প্রাচীন ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে যা আয়ুর্বেদ আপনার চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী ও স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে। আপনি যদি আপনার চুলে তেল দেওয়ার পক্ষপাতী না হোন, তবে আপনার চুলের জন্য তাহলে তা করার সময় হয়ে গিয়েছে। এই সময় নারকেল তেল, আমলা তেল, ক্য়াস্টর অয়েল ও ভৃঙ্গরাজ তেল বা তিলের তেল ব্যবহার করতে পারেন।
অনেক সময় চুলের পুষ্টির অভাব থাকলে তা মরসুমি শাকসবজি ও ডাল-সহ একটি স্বাস্থ্যকর খাবার শুরু করা উচিত। আয়ুর্বেদ অনুসারে, তাজা খাবার তৈরি করার কৌশল অনুসরণ করতে পারেন। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ড. ডিক্সা ভাবসার তাঁর ইনস্টাগ্রাম পেজে এই প্রসঙ্গেই একটি আয়ুর্বেদিক রত্ন শেয়ার করেছেন। তিনি সেখানে জানিয়েছেন, নাকের ছিদ্রের ঘি ফোঁটা লাগালে শুধু চুল পড়া রোধ করা যায় না, শুধু চুলের অকাল পাকা হওয়াও রোধ করা যায়।
আরও পড়ুন: Lip Pigmentation: ঠোঁটে কালো দাগ হঠাতে প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া উপায়ই সেরা! শীতে ঠোঁটের যত্ন নেবেন কীভাবে?