আগেকার দিনে রাজা-মহারাজা কিংবা রাণীরা দুধ দিয়ে স্নান করতেন।দুধের স্বাস্থ্যগুণ সম্বন্ধে অনেক তথ্যই আমাদের জানা। কিন্তি কাঁচা দুধ যে ত্বকের যত্নের জন্যও সমান গুণ রয়েছে, তা হয়তো জানা নেই অনেকেরই। নামী-দামী কসমেটিক্সের প্রোডাক্ট না কিনে ঘরোয়া উপায় যতটা সম্ভব ত্বককে সুস্থ রাখা কীভাবে সম্ভব, সেইদিকেই নজর দেওয়া দরকার। প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধিতে কাঁচা দুধের বিকল্প নেই।
শুষ্ক বা রুক্ষ ত্বকের জন্য কাঁচা দুধ বেশ উপকারী। ত্বককে সতেজ রাখতে ক্লিনজিং, ময়শ্চারাইজিং, ক্লিনজিং পদ্ধতি বিশেষ জরুরি।সপ্তাহে একবার কাঁচা দুধ লাগালে ত্বকের পরিপূর্ণ চর্চার জন্য সহায়তা করে। প্রাকৃতিক ফেস ক্লিনজার, ময়শ্চারাইজার, স্কিন টোন হিসেবে দুধ অত্য়ন্ত উপকারী। ত্বকের যে কোনও সমস্যার সমাধান হিসেবে দুধ ব্যবহার করতে পারেন।
– ত্বকের উপরিস্থল থেকে ময়লা, ট্যান দূর করার জন্য দুধের মধ্যে তুলো ডুবিয়ে সারা মুখ, গলা, ঘাড়, হাতে ঘষলে তা পরিস্কার হয়ে যায়। এইভাবে ৮মিনিট ঘষলে ত্বক থেকে ট্যান, ময়লা পরিস্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: খুশকি ও চুল পড়ার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাবুদানা-রোজমেরির হেয়ার মাস্ক লাগান! ১ সপ্তাহ পরই ফল পাবেন
– শুষ্ক ত্বকের দেখভালের জন্য সারা মুখে কাঁচা দুধ লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন । পরে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আগের থেকে অনেক ফ্রেস লাগবে. দেখবেন।
– ফেসিয়াল প্যাক হিসেবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। বাজারচলতি ফেস প্যাকের তুলনায় ঘরোয়া উপায়ে দুধের সঙ্গে মধু, বেসনের প্যাক বানিয়ে গোটা মুখে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শুকিয়ে গেলে গরম জল দিয়ে মুখটা ধুয়ে ফেলুন।
– এ তো গেল দিনের বেলায় ত্বকের রূপচর্চা। রাতের বেলাতেও নিজের ত্বকের দেখভাল করতে পারেন। প্রতিদিন শোবার আগে দুধে দুধের সর লাগিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর, স্বাভাবিক জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সতেজ ও উজ্জ্বলতা ফিরে পাবেন।
একটি গোটা সপ্তাহের প্রতিদিন যদি রুটিন মেনে ত্বকের পরিচর্চার জন্য কাঁচা দুধ ব্যবহার করা হয়, তাহলে ত্বকের উপর থেকে কালো ছোপ দূর হয়ে ফর্সা রঙ ফিরে পাবেন। নরম তুলতুলে, টানটান ত্বক পেতে প্রতিদিন দুধের সর বা কাঁচা দুধ লাগাতে পারেনগাতে পারেন।