ত্বকের মতো চুল ভাল অবস্থায় রাখাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর চুলের যত্ন (Hair Care) নেওয়ার সময় বাইরের যত্নের পাশাপাশি সুষম খাদ্যের মাধ্যমে ভিতরের যত্নও সমান জরুরি। তার সঙ্গে চুলের ধরন বুঝে সঠিক প্রোডাক্টও (Hair Care Products) ব্যবহার করতে হবে। চুলের যত্নে নারকেল তেল অনেক উপকারী। তবে জানেন কি শুধু নারকেল তেল নয়, চুলের যত্ন নিতে সরিষার তেলও (Mustard Oil) সমানভাবে উপকারী।
তবে অনেকেই সরিষার তেল চুলে ব্যবহারে ভয় পান, যদি চুলের কোনো ক্ষতি হবে এই ভেবে। ভারতীয় রান্নাঘরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল সরষের তেল। এটি রান্না, ম্যাসেজ এবং এমনকি ঠাকুরঘরেও নিয়মিত ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। শুধু সরষের তেল নয়, অন্যান্য তেল যেমন জলপাই, ক্যানোলা, সূর্যমুখীও আমাদের ওজন কমানোর যাত্রায় যথেষ্ট পুষ্টিগুণ এবং সাহায্য প্রদানের জন্য সুপরিচিত।
জানলে অবাক হবেন, সরিষার তেলে আছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, মিনারেল, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ, ডি, কে ও ই। সরিষার তেল চুল পড়া রোধ করে। এতে আরও থাকে জিঙ্ক, বিটা ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম ও ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। যা চুল বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।
স্ক্যাল্পে সরিষার তেল ব্যবহারে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে ও চুলের গোড়া মজবুত হয়। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসেবেও সরিষার তেল উপকারী। খুশকি ও মাথার ত্বকে চুলকানি থেকেও রক্ষা করে এই তেল। জেনে নিন চুলে কীভাবে ব্যবহার করবেন সরিষার তেল। রইলো দু’টি উপায়।
গরমে মাথার ত্বক ঘামে ও দূষণে চুল অনেক নোংরা হয়ে যায়। অন্যদিকে শীতে এ সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। তবে ঠান্ডা আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায় চুলও কিছুটা রুক্ষ হয়ে যায়। তাই চুলে আর্দ্রভাব বজায় রাখতে সবাই বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন। একটি পাত্রে সরিষার তেল ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে স্ক্যাল্পে ভালোভাবে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করুন। আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
আবার অনেকেই শীতে চুল আর্দ্র রাখতে বিভিন্ন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করেন। তবে সব ধরনের হেয়ার মাস্ক সবার চুলের জন্য প্রযোজ্য নয়। একটি পাত্রে সরিষার তেল, লেবুর রস ও ধনে গুঁড়া একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে তিনদিন এটি মাস্ক হিসেবে চুলে ব্যবহার করুন। আধা ঘণ্টা মতো রেখে চুলে শ্যাম্পু করুন। এতে চুল হবে মজবুত।
এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।