কানের দুলের বিজ্ঞাপনে ‘হিয়ারিং এড’ পরা মডেল, ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজ়েনরা
নেটাগরিকরা বলছেন, 'এর আগে এমন দেখা যায়নি। সচারচর হয়তো এভাবে ভাবতেও পারেন না অনেকে। তবে এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড যে এতটা উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভেবেছে সেটাই প্রশংসনীয়। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে দেখেও ভাল লাগছে।'
ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। কানের দুলের বিজ্ঞাপনে ডিজাইনার কানের দুল বা তাঁর দাম নিয়ে চর্চা চলছে না। বরং আলোচনার মধ্যমণি ওই কানের দুল পরে থাকা মডেল।
কিন্তু কেন?
ফ্যাশন ব্র্যান্ডের মডেল মানেই তো নিখুঁত সৌন্দর্য। সবই একদম পরিপাটি। তা সে মডেল র্যাম্পেই হাঁটুন বা বিজ্ঞাপনে থাকুন, ঝাচকচকে সৌন্দর্যটাই মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এত চাকচিক্যের জেরে অনেকে বলেন মডেল মানেই ‘প্লাস্টিক সুন্দরী’। তবে এই সমস্ত মিথ ভেঙে দিয়েছে ওই ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড। তাদের কানের দুলের বিজ্ঞাপনে রাখা হয়েছে ‘হিয়ারিং এড’ পরা এক মডেলকে।
ফ্যাশন দুনিয়ার তথাকথিত বেড়াজাল ভাঙার জন্য বিপুল প্রশংসা পেয়েছে ওই ব্রিটিশ ফ্যাশন ব্র্যান্ড। টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপনের ছবি ভাইরাল হয়েছে। নেটাগরিকরা বলছেন, ‘এর আগে এমন দেখা যায়নি। সচারচর হয়তো এভাবে ভাবতেও পারেন না অনেকে। তবে এই ফ্যাশন ব্র্যান্ড যে এতটা উদার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভেবেছে সেটাই প্রশংসনীয়। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাচ্ছে দেখেও ভাল লাগছে।’
জানা গিয়েছে, নাতাশা ঘৌরি নামের এক মডেলকে ওই বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়েছে। জন্ম থেকেই কানে শুনতে পান না না নাতাশা। একরত্তি থাকার সময় থেকেই হিয়ারিং এড তাঁর সঙ্গী। কিন্তু নাতাশার জীবনের এই সমস্যাকে মোটেই খামতি বলে মনে করেনি ওই ফ্যাশন ব্র্যান্ড। বরং তাঁর গুণকেই বেছে নিয়েছে তারা।
ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটাগরিকদের ভালবাসা পেয়েছেন নাতাশা। অনেকে তাঁকে দেখে অনুপ্রেরণাও নিয়েছেন। এক নেটিজ়েন লিখেছেন, তাঁর কানে শোনার সমস্যা রয়েছে। কিন্তু হিয়ারিং এড পরতে ভয় পান তিনি। লজ্জাও লাগে এই ভেবে যে আর পাঁচজন কী বলবেন। কিন্তু এই ব্রিটিশ ব্র্যান্ড আর নাতাশাকে দেখে এবার সাহস পেয়েছেন তিনি। তাড়াতাড়ি পরেও ফেলবেন হিয়ারিং এড।