
দিওয়ালি মানেই আলো, আনন্দ, হাসি আর একটুখানি উৎসবের উচ্ছ্বাস। কিন্তু আলো ঝলমলে এই উৎসবের রঙ যদি নিরাপত্তাহীনতার কারণে কালো হয়ে যায়, তবে আনন্দের বদলে আসে আতঙ্ক। দিওয়ালিতে বাজি ফাটানো যেমন আনন্দ দেয়, তেমনই অসাবধানতা বড় দুর্ঘটনার কারণও হতে পারে। তাই দিওয়ালির আনন্দ বজায় রাখতে চাই সামান্য সচেতনতা। দেখে নিন বাজি ফাটানো আগে কী কী বিষয় মাথায় রাখবেন।
ঘরের ভিতর, বারান্দা বা ছাদের কোণে নয়, বাজি ফাটানোর জন্য খোলা জায়গা বেছে নিন। আশেপাশে শুকনো পাতা, কাপড় বা প্লাস্টিক থাকলে সেগুলো প্রথমে সরিয়ে ফেলুন।
যে কোনও দুর্ঘটনা সামাল দিতে এগুলো জরুরি। অগ্নিদগ্ধ হলে বা বাজি উল্টে গেলে তা নেভাতে জল বা বালি তাৎক্ষণিক সাহায্য করবে।
নাইলন বা সিনথেটিক কাপড়ে দ্রুত আগুন লেগে যায়। তাই বাজি ফাটানোর সময় হালকা, সুতির পোশাক পরা সবচেয়ে নিরাপদ।
বাচ্চাদের হাতে বাজি তুলে দিলেও তাদের সবসময় নজরে রাখতে হবে। দেশলাই, লাইটার বা আগুনের উৎস থেকে তাদের দূরে রাখুন।
অতিরিক্ত শব্দবিশিষ্ট বাজি শুধুমাত্র পরিবেশ নয়, বয়স্ক ও প্রাণীদেরও কষ্ট দেয়। তাই শব্দবাজির বদলে আলোকবাজি বেছে নিন।
আজকাল বাজারে Green Crackers বা পরিবেশবান্ধব বাজি পাওয়া যায়, যা দূষণ অনেক কমায়। তাই “CSIR NEERI” বা সরকারি চিহ্নযুক্ত বাজি নিন।
অচেনা ব্র্যান্ডের বাজি বা অনেকদিন ধরে রাখা বাজি বিপজ্জনক হতে পারে। তাই শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত বিক্রেতার কাছ থেকে বাজি কিনুন।
অনেকেই বাজি জ্বালিয়ে সেটার কাছে দাঁড়িয়ে দেখেন। এটা বিপজ্জনক অভ্যাস। বাজি জ্বালানো মাত্র ৫-৬ ফুট দূরে সরে যান।
পোষ্য বা রাস্তায় থাকা প্রাণীরা ভয় পায় তীব্র শব্দে। বাজি ফাটানোর সময় তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে সাহায্য করুন। ভুল করেও তাদের সামনে বাজি ফাটাবেন না।
দিওয়ালির খুশির আলো নিভে যেন না যায় অসতর্কতার ছায়ায়। আনন্দের রেশ থাকুক আলো, ভালবাসা আর নিরাপত্তার মধ্যে। বাজি ফাটান, তবে দায়িত্ব নিয়ে, যেন আলোয় ভরে ওঠে আপনার ঘর, আতঙ্কে নয়।