
পুজোর ঢাকের শব্দ কানে আসছে, আর আপনার ত্বকে চাই ইনস্ট্যান্ট গ্লো! শেষ মুহূর্তে পার্লারে ছুটছেন ফেসিয়াল বা অন্য কোনও ইনটেনসিভ ট্রিটমেন্টের জন্য? যদি ভেবে থাকেন ঠিক ষষ্ঠীর আগে ফেসিয়াল করালে প্যান্ডেল হপিং-এর সময় আপনার মুখ ঝলমলে দেখাবে, তা হলে আপনি মারাত্মক ভুল করছেন! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎসবের ঠিক আগে ত্বকের উপর অতিরিক্ত চাপ দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। এতেই যে কারও ত্বকের “বারোটা বাজার” সম্ভাবনা বাড়ে।
ফেসিয়াল বা ইনটেনসিভ ট্রিটমেন্ট (যেমন – মাইক্রোডার্মাব্রেশন বা কেমিক্যাল পিল) ত্বকের কোষকে দ্রুত পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করে। এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে:
১. ব্রেকআউট বা র্যাশ: ফেসিয়াল করার পর ত্বকের গভীর থেকে ময়লা ও টক্সিন বের হয়ে আসে। এর ফলে ফেসিয়ালের ঠিক ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা পর ত্বকে ব্রণ বা ছোট ছোট র্যাশ দেখা দিতে পারে। আর এই সময়টাতেই তো আপনার সবচেয়ে বেশি সাজগোজের প্রয়োজন।
২. লালচে ভাব ও সংবেদনশীলতা: ইনটেনসিভ ম্যাসাজ, স্ক্রাবিং বা কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে ত্বক লালচে ও সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এই সময়ে মেকআপ ব্যবহার করলে ত্বকের পোরসগুলো ব্লক হয়ে যেতে পারে এবং অ্যালার্জির ঝুঁকি বাড়ে।
৩. গ্লো আসতে সময় লাগে: ত্বকের প্রকৃত গ্লো বা উজ্জ্বলতা আসতে কিছুটা সময় লাগে। সাধারণত ফেসিয়াল করার ৩ থেকে ৪ দিন পর ত্বক তার সেরা অবস্থায় পৌঁছায়। তাই শেষ মুহূর্তে ফেশিয়াল করালে উৎসবের দিনে আপনি উজ্জ্বলতা নাও পেতে পারেন।
যদি হাতে একদমই সময় না থাকে, তবে ইনটেনসিভ ফেসিয়াল বা কেমিক্যাল পিল না করে হালকা এবং মৃদু ট্রিটমেন্ট বেছে নিন।
গ্লো-এর জন্য হাইড্রেটিং ফেস মাস্ক: পুজোর আগের দিন রাতে একটি হাইড্রেশন-বেসড শিট মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বককে দ্রুত সতেজ ও নরম করে তোলে।
মৃদু স্ক্রাবিং: খুব আলতো হাতে একটি ভাল এনজাইমযুক্ত ফেস স্ক্রাব ব্যবহার করুন, যা ত্বকের ওপরের মরা কোষ দূর করবে। তবে জোর করে ঘষাঘষি করবেন না।
ভিটামিন সি সিরাম: রাতে ভাল করে মুখ পরিষ্কার করার পর একটি ভিটামিন সি সিরাম ব্যবহার করুন। এটি রাতারাতি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
ঠান্ডা জল থেরাপি: প্যান্ডেল হপিংয়ের ক্লান্তি দূর করতে সকালে উঠে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখে ঝাপটা দিন। এটি ত্বকের ফোলাভাব কমাবে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে।