Manish Malhotra: মাসে উপার্জন মাত্র পাঁচশো টাকা, এ দিনও দেখতে হয়েছিল আজকের ‘সেলিব্রিটি ডিজ়াইনার’ মনীশ মালহোত্রাকে

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

May 01, 2022 | 2:44 AM

Manish Malhotra lehenga: তাঁর তৈরি লেহঙ্গায় চোখ ধাঁধিয়ে যায় বিশ্ববাসীর। আজ তাঁর ডিজাইনের রেপ্লিকা পোশাক কিনতেই লাইন পড়ে দেশের নানা লেহঙ্গা স্টোরে। কিন্তু তিনিই একদিন ছিলেন ৫০০ টাকার সামান্য বেতনভুক কর্মচারী

Manish Malhotra: মাসে উপার্জন মাত্র পাঁচশো টাকা, এ দিনও দেখতে হয়েছিল আজকের সেলিব্রিটি ডিজ়াইনার মনীশ মালহোত্রাকে
ডিজাইনার মনীশের অজানা গল্প

Follow Us

তাঁর ডিজাইন করা পোশাকের চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। বলিউডের অভিনেত্রীরা মুখিয়ে থাকেন তাঁর তৈরি পোশাক পরে র‌্যাম্প মাতানোর জন্য। ইন্সটাগ্রামে তাঁর ফ্যান ফলোয়িং রীতিমতো ঈর্ষনীয়। বলিউডের প্রচুর হাইপ্রোফাইল বিয়ের পোশাক ডিজাইনের ভার থাকে তাঁর উপর। সদ্য আলিয়া ভাটের বিয়ের অনুষ্ঠানে বিয়ের লেহঙ্গাটি তাঁরই ডিজাইন করা। তিনি হলেন মনীশ মালহোত্রা। আজ থেকে কয়েক বছর আগে যখন মনীশ তাঁর কেরিয়ার শুরু করেন তখন কিন্তু ছিলেন মাত্র ৫০০ টাকার বেতনভুক কর্মচারী। পঞ্জাবি পরিবারে বেড়ে ওঠা মনীশের ছোট থেকেই চোখে ছিল হাজারো স্বপ্ন। তবে সব সময় কিন্তু পাশে পেয়েছেন মাকে। প্রথম কাজ খুব সাধারণ একটি বুটিকে। তবে বলিউড বরাবর ছিল তাঁর আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখতেন এই বলিউডে কাজ করার।

সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে মনীশ তাঁর মনের কথা তুলে ধরেন। সেখানেই তিনি জানান, খুব সাধারণ একটি পরিবার থেকে তাঁর বেড়ে ওঠা। বলিউডের সিনেমার প্রতি ছিল ভীষণ আগ্রহ। ছবি নিয়ে তাঁর কোনও বাছবিচার ছিল না। সব রকম ছবি দেখতেই তিনি পছন্দ করতেন। আর তাই মুখিয়ে থাকতেন শুক্রবারে ছবি মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায়। প্রথম থেকেই ছেলের যাবতীয় স্বপ্নে সায় দিয়ে এসেছেন মা। একটা চৌহদ্দির মধ্যে থেকে কিছুতেই পড়াশোনা করতে চাইতেন না তিনি। পছন্দ ছিল না প্রথামাফিক পড়াশুনোও। বরং মনে মনে ভাবতেন কবে এই সবের থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।

ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াকালীন ভর্তি হলেন আঁকার ক্লাসে। সেখানে রোজ যেতে যেতে তাঁর আঁকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বেশ কিছু স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয় এবং তিনি নিজের মত করে আঁকতেও থাকেন। সুযোগ পেলেই মায়ের বিভিন্ন শাড়িতে ফুটিয়ে তুলতেন পছন্দের নকশা। নিজের হাতে মাকে সাজাতেন। এবং কীভাবে শাড়ি পরলে মাকে দেখতে ভাল লাগবে সেই টিপসও কিন্তু দিতেন।  স্কুল পাশ করে কলেজে ভর্তি হলেন। পাশাপাশি চলতে থাকল মডেলিং।  একবছর পর স্থানীয় একটি বুটিকে কাজ শুরু করলেন। মাস গেলে হাতে পেতেন ৫০০ টাকা। বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করার মত টাকা তাঁর হাতে ছিল না। ঘন্টার পর ঘন্টা ওই বুটিকে বসে তিনি নিজের মত স্কেচ করতেন। ফ্যাশন নিয়ে যেটুকু পড়াশোনা সেটুকু কিন্তু তিনি নিজের মত করেই করেছেন। কোনও প্রতিষ্ঠান থেকে নয়। ২৫ বছর বয়সে জুহি চাওয়া অভিনীত একটি ছবিতে পোশাক নির্মাণের দায়িত্ব পান।

আমিরল খান ও ঊর্মিলা মাতন্ডকর অভিনীত রঙ্গিলা ছবিতে কস্টিউম ডিজাইনার হিসেবে তিনি কাজ করেছিলেন। সেরা কস্টিউম ডিজাইন করার জন্য ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেও নিয়েছিলেন। এই সিনেমাই তাঁর জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। মনীশ জানান, স্টোরি লাইন নিয়ে তিনি এত প্রশ্ন করেছিল্ন যে স্বয়ং প্রযোজক-পরিচালক বিরক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু ঊর্মিলাকে মনের মত করে তিনি সাজাতে পেরেছিলেন। ঊর্মিলার সেই পোশাক অনেকেরই মনে ধরে। এরপর তিনি শুরু করলেন বিশ্বভ্রমণ। বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাক আসতে লাগল। ২০০৫ সালে শুরু করলেন নিজের ব্র্যান্ড। এখনও পর্যন্ত সেই পথ ধরেই এগিয়ে চলেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: Summer Wedding: শাড়ি কিংবা লেহঙ্গা নয়, নবাবি ঘারারাতেই ঝলমলিয়ে উঠুন ‘D-Day’তে

Next Article