How To Go Braless: দীর্ঘ দু’বছরের লকডাউন শেষে আবার ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে অফিস পাড়া। অনেক অফিসেই এখন আর বাড়ি থেকে কাজের সুবিধে নেই। তবে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে ছেলেরা যত না সুবিধে পেয়েছেন তার থেকে অনেক বেশি সুবিধে পেয়েছেন মেয়েরা- একথা অস্বীকার করার জায়গা নেই। বাড়ির কাজ, সংসার, সন্তান, জুম মিটিং সামলে কাজ করা যে বেশ ঝক্কির তা হাড়ে-হাড়ে টের পেয়েছেন মহিলারা। তবুও এর পরও কিন্তু তাঁদের অফিসে ফেরার ইচ্ছে বা তাগিদ কোনওটাই ছিল না। কারণ? দীর্ঘ সময় বাড়িতে অর্ন্তবাস ছাড়া থেকে তাঁরা এতটাই ‘Comfort’- পেয়েছিলেন যে সেই সুখ সহজে হাজছাড়া করতে চাননি। ২৭-৩৫ এই বয়সের মহিলাদের মধ্যে যখন কোনও আলোচনা হয়, তখন অবধারিত ভাবেই আসে এই ‘ব্রা’ প্রসঙ্গ। রোদে- গরমে রোজ বাস-ট্রেনের ঝক্কি পেরিয়ে অফিস যাওয়া যত না কষ্টের তার থেকে মেয়েদের কাছে অনেক বেশি যন্ত্রণার একটানা ‘ব্রা’ পরে থাকা।
এই দু বছরে স্নান করে ব্রা পরার অভ্যাস মেয়েরা হারিয়ে ফেলেছেন। আবার যখন নতুন করে এই গরমে সেই অভ্যাস রপ্ত করতে হচ্ছে, তাতে যারপরনাই তাঁরা বিরক্ত। কিন্তু জানেন কি, এই গরমে অর্ন্তবাস ছাড়াই আপনি বেরোতে পারেন বাড়ির বাইরে। শুনে অবাক লাগছে? আমেরিকায় বেশ কয়েক বছর আগে শুরু হয়েছিল ‘নো ব্রা মুভমেন্ট’। আর ‘ব্রা না পরার’ও একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। অর্ন্তবাস নিয়ে আমাদের সমাজে একাধিক মিথ প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু একজন মহিলা অর্ন্তবাস পরবেন কি পরবেন না, তা সম্পূর্ণ তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অনেকেই বলেন, অর্ন্তবাস না পরলে স্তনের গঠন নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই।
ব্রা না পরার কিন্তু একাধিক উপকারিতাও রয়েছে
স্তনের ত্বক ভালো থাকে- ব্রা পরে থাকলে ত্বকে নোংরা জমে থাকতে পারে এবং ঘামও হতে পারে। এর ফলে রোমছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এমনকি জ্বালাও হতে পারে। হতে পারে র্যাশের সমস্যাও।
রক্ত চলাচলে সমস্যা হয় না- কয়েক ঘণ্টা লাগাতার ব্রা পরে থাকলে সাফোকেশন হতে পারে। পিঠ ও বুকের মাংসপেশীতে রক্ত চলাচল কমিয়ে দিতে পারে ব্রা। এর ফলে স্তনে ব্যথা অনুভব করতে পারেন। ব্রা না-পরলে শরীরের উপরের অংশে রক্ত চলাচলে কোনও সমস্যা হয় না।
রাতে ঘুম ভাল হয়– ব্রা শরীরে টাইট হয়ে চেপে বসে থাকলে অস্বস্তি হয়, ফলে মোটেই ঠিকভাবে ঘুম হয় না। রাতে ঘুম না হলে সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। যে কারণে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অর্ন্তবাস খুলে ঘুমোতে বলা হয়।
এই গরমে ব্রা ছাড়া কী ভাবে বাইরে বেরোবেন ?
ব্রালেট পরুন- পরতে পারেন ব্রালেট। ব্রালেট এখন ফ্যাশনে ভীষণ ভাবে ইন। ব্রালেটে কোনও প্যাডিং থাকে না এবং তা বেশ আরামদায়কএ। ওয়েস্টার্ন যে কোনও পোশাকের পরিবর্তে পরতে পারেন ব্রালেট। এই সামারে পাবেন কুল লুক। সেই সঙ্গে মনের দিক থেকেও পাবেন নিরাপত্তা।
ওয়ার্ক আউট টিশার্ট পরুন- পরতে পারেন ওয়ার্ক আউটের টিশার্টও। এই টিশার্টের ফিটিংস ভাল হয়। সেই সঙ্গে অর্ন্তবাস পরতে হবে এরকম কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না। স্টাইল যেমন হবে তেমন আরামও পাবেন।
ফ্লোরাল প্রিন্টের টপ- পরতে পারেন ফ্লোরাল প্রিন্টের টপ। বা যে কোনও প্রিন্টেড টপ। এতে আপনার বুকের উপর চট করে কারো নজর পড়বে না। সেই সঙ্গে দেখতেও খারাপ লাগবে না। এই ফ্লোরাল প্রিন্ট এখন কিন্তু বেশ ট্রেন্ডিও। এই টপের সঙ্গে পরতে পারেন রাফেল স্কার্ট।
ভি-নেক পোশাক- ভি নেকের কোনও পোশাক পরতে পারেন। এতে দেখতে খারাপ লাগবে না। সঙ্গে হেভি কোনও নেকপিস পরুন। সামার ফ্যাশন ট্রেন্ডে থাকতে এই পোশাকের কিন্তু জুড়ি মেলা ভার।
আরও পড়ুন: PV Sindhu: ফ্যাশন দুনিয়ায় নয়া চমক! একলাখি লেহেঙ্গার বেশে এ কোন সিন্ধু!