Casual wear: ভাইফোঁটা থেকে ঘরোয়া আড্ডা, ব্যস্ততার ফাঁকে ইশার মতো স্টাইল করতে পারেন আপনিও
Handloom Saree: হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরেও আরাম লাগে। আর দেখতেও বেশ স্টাইলিশ।
পুজোর দিনগুলোতে সবচেয়ে বেশি মন টানে এই সব ঘরোয়া আড্ডা। একসঙ্গে বসে খাওয়া-দাওয়া, গান বাজনা আর দেদার আড্ডা- ব্যাস আর কী চাই। প্রত্যেকেই এখন নিজের জীবনে ভীষণ রকম ব্যস্ত। নিজের জন্যই সময় বের করা দুষ্কর আড্ডা তো আরও কঠিন ব্যাপার। আর তাই লক্ষ্য থাকে এই সব উৎসবের দিনে। এখন সবাই নিউক্লিয়ার ফ্যামিলিতে অভ্যস্ত। তুতো ভাইবোনদের সংখ্যা খুবই কম। ফলে ভাই-দাদাদের সঙ্গে সেই টান এখন মিসিং। একসঙ্গে ভাগাভাগি করে খাবার খাওয়া, দল বেঁধে ঠাকুর দেখতে যাওয়া, রাত জেগে হইহই সব কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে শহুরে জাঁতাকলে। আর কয়েক প্রজন্ম পর হয়তো এই ভাইদাদাদের ফোঁটা দেওয়া, রাখি পরানো এসবও উঠে যাবে। দিদি-বোনদের সঙ্গে খুনসুটি, উপহার নিয়ে আবদার এসবও যেন এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ভুলতে বসেছে।
তবুও বিশেষ দিনে দিদি বোনরা যেমন ভাইদের আবদার পূরণে রান্না করেন তেমনই এই দিন সুন্দর করে নিজেকেও সাজিয়ে তোবা জরুরি। ওয়ার্ক ফ্রম হোম অফিস আর কাজের চাপে নিজের জন্য সময় বের করতেই হিমশিম খেতে হ। আর তখন শাড়ি পরার কথা ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে। তবুও এমন দিনে সেলফি তো তোলা হবেই। আর তার জন্য একটু সাজুগুজু তো করতেই হবে। আর এখানে আপনি কিন্তু অভিনেত্রী ইশার টিপস মেনে চলতে পারেন। বরাবরই খুব ছিমছাম সাজতে ভালবাসেন ইশা। শাড়ি হোক বা ওয়েস্টার্ন তার মধ্যে রুচির ছাপ থাকে স্পষ্ট।
পুজোর দিনে ইশা যেমন এই নীল রঙের সুতির বেগমপুরি শাড়িটি পরেছেন। এর সঙ্গে পরতে পারেন অক্সিডাইজের গয়না। এমন শাড়ি গায়ের সঙ্গে লেপ্টে থাকে। পরাটাও খুব সহজ। আর একবার পরে ফেলতে পারলে দেখতে ভাল লাগে। হ্যান্ডলুমের এই শাড়িটিও কিন্তু বেশ স্টাইলিশ। আজকালকার মেয়েদের প্রথম পছন্দ হ্যান্ডলুম। আর তাই এমন একটা শাড়ি আপনিও পরতে পারেন। যদি আড্ডা জমে রাতের দিকে তাহলে একরঙের শিফন জর্জেট পরতে পারেন। গাঢ় যে কোনও রঙের শাড়ির সঙ্গে একই রঙের ব্লাউজ পরুন। মনক্রোম এখন ফ্যাশানে ট্রেন্ডিং। এমন শাড়ি ব্লাউজেও দেখতে লাগবে চমৎকার। সঙ্গে গয়নারও বিশেষ প্রয়োজন হয় না। ইশা যে মেরুন রঙের ব্লাউজটি পরেছেন তার নেকলাইনের কাজও কিন্তু বেশ চমকপ্রদ। আকর্ষনীয় হাতের কাজও। এমন শাড়ির সঙ্গে ঝোলা দুলই যথেষ্ট। অন্য কোনও গয়না আর না পরলেও চলবে।