গত কয়েকবছর ধরে, মেন ইন ইন্ডিয়ার পণ্য নিয়ে আন্তজার্তিক ফ্যাশন দুনিয়ায় বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সে যে কোনও কাপড়ের ফেব্রিক হোক কিংবা স্থানীয় ডিজাইনারদের প্রচার করা হোক, বিভিন্ন এলাকার সংস্কতি হোক বা হাতের তৈরি ডিজাইন , ভোকালস ফর লোকাল আইটেমগুলির উত্থানে ভারতীয় পোশাকের কদর আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গিয়েছে।
দেশীয় পোশাকের গুরুত্ব সামনে আনতে প্রথম পদক্ষেপ নেন জাতির জনক মহাত্মা গান্ধী। তাঁর ১৫২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে খাদি বিষয়ক কিছু তথ্য জেনে রাখা ভাল। ১৯১৯ সাল সবরমতী আশ্রমে চড়কা ঘুরিয়ে খাদির পোশাক বানানোর কৌশল শেখান গান্ধীজী। আজকের দিনেও খাদি পোশাক ভারত ও দেশের বাইরে একটি আরামদায়ক ফেব্রিক হিসেবে পরিচিত। দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন সাজেই রয়েছে খাদির যোগ। সেগুলি কী কী দেখে নিন একঝলকে…
– দৈনন্দিন পোশাকের স্টাইলের সঙ্গে জড়িত খাদি। যে কোনও মিটিংয়ে বা বাইরে কেনাকাটা করার সময় টপ ও প্যান্টের সেট আপনার স্টাইলকে অন্য মাত্রা যোগ করতে সহায়তা করে।
-বর্তমানে পালাজো ও খাদির কুর্তা বেশ ট্রেন্ডিং। স্টাইলের সঙ্গে আরামদায়ক কোনও পোশাক হলে পালাজো ও কুর্তা বেছে নিতে পারেন। যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য খাদির কুর্তা অনায়াসে ট্রেন্ড হতে পারে।
– মহিলাদের পাশাপাশি ছেলেদের জন্যও রয়েছে আরামদায়ক খাদির কুর্তা ও প্যান্ট। তবে মহিলাদের জন্যও এই পোশাক রয়েছে। ফরম্যাল পোশাক ও পার্টি পোশাকের জন্য সুতির কুর্তা ও প্যান্ট বেছে নিতে পারেন। প্যান্টের ফেব্রিকে একটি মসৃণ ক্রিজ থাকে। শীতকালে এই পোশাক গরম রাখে ও গ্রীষ্মকালে ঠিক ততটাই ঠান্ডা রাখে।
– গ্রীষ্মকালে যে কোনও পার্টি বা অনুষ্ঠানে খাদির শাড়ি বেশ স্টাইলিশ। আরাম ও ফ্যাশন – উভয়ের জন্যই খাদির ডিজাইনার শাড়ি বেছে নিতে পারে নতুন প্রজন্ম।
– সিল্ক হল সবচেয়ে মসৃণ ও নরম। সাধারণ খাদির পোশাকের তুলনায় খাদি সিল্কের পোশাকে রয়্য়াল লুক থাকে। দামের দিক থেকেও রয়েছে পার্থক্য।
আরও পড়ুন: Neeraj Chopra: জ্যাভলিন স্টিকের দামের সমান সোয়েটশার্ট পরে ফ্যাশন দুনিয়ায় নজর কাড়লেন নীরজ!