করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই গোটা বিশ্ব কিছুটা স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা বাদ দিলেও এই মারণ ভাইরাসের কারণে গোটা বিশ্বেই আর্থিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। পাশাপাশি ফ্যাশন দুনিয়াও বিভিন্ন দিক থেকে ক্ষতির শিকার হয়েছে। তবে আশার আলো, ফের শুরু হতে চলেছে বিশ্বের বিখ্যাত লন্ডন ফ্যাশন উইক।
না কোনও ভার্চুয়াল মাধ্যমে নয়, ক্যাটওয়াক শো-ই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বিখ্যাত ইভেন্টটির পূর্ববর্তী সংস্করণটি করোনাভাইরাস অতিমারির জন্য অনলাইনে করতে বাধ্য হয়েছি। জুলাই মাস থেকে বহুক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় মজেল ও দর্শকরা এবার সরাসরি সাক্ষাত্ করতে পারবে। জানা গিয়েছে, এবছরের লন্ডন ফ্যাশন উইকে মোট ২৮টি শো থাকে, চলবে পাঁচদিন ধরে। এই ফ্যাশন উইকে সারা বিশ্বের মোট ১৩১ টি ব্র্যান্ড যোগ দেবে বলে জানানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত ডিজাইনারও রয়েছেন, যেমন ব্রিটেনের এডওয়ার্ড ক্রাচলে ও সার্বিয়ার রোকসান্ডা। আইরিশ ডিজাইনার সিমোন রোচার ব্যান্ড এ বছর দশমতম বার্ষিকী ইদযাপন করবে। তবে এই জনপ্রিয় ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করতে পারবে না প্রাক্তন স্পাইস গার্ল তথা ফ্যাশন ডিজাইনার ভিক্টোরিয়া বেকহ্যাম ও লাক্সারি ব্র্যান্ড বারবেরি।
গত সেপ্টেম্বরে, বারবেরি তার স্প্রিং-সামার ২০২১ কালেকশনটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে শো পরিবেশন করেছিল। প্রসঙ্গত, করোনার জেরে ফ্যাশন দুনিয়ে এসেছে কিছু চমক। তা হল এই পরিস্থিতিতে বেশিরভাগ ডিজাইনাররা তাঁদের লেটেস্ট পোশাকগুলি শুধু অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমে বা ফ্যাশন উইক প্ল্যাটফর্মে ভিডিয়োর মাধ্যমে উপস্থাপন করতে পছন্দ করছেন।
ফেব্রুয়ারিতে, লন্ডন ফ্যাশন উইক সম্পূর্ণরূপে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়েছিস। সেই সময় দেশে সংক্রমণের মাত্রা অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় সারা দেশজুড় লকডাউনের ব্যবস্থা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। প্যারিস, নিউ ইয়র্ক ও মিলানের পাশাপাশি বড় আন্তর্জাতিক ফ্যাশন শোগুলি ইতোমধ্যে অনলাইনে অনুষ্ঠিচ হয়েছে। তবে লন্ডন ফ্যাশন উইক নিয়ে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে লন্ডনের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান সাধারণ মানুষ। কিন্তু ব্রিটিশ ফ্যাশন দুনিয়া জড়িত প্রায় ৯০ হাজার মানুষ কর্মী কাজছাড়া হয়ে পড়েছিল।