২১টি বছর না পাওয়ার যন্ত্রণা এবার লাঘব হল। কারণ একটাই। ইজরায়েলে অনুষ্ঠিত হওয়া আন্তর্জাতিক মঞ্চে গোটা দেশকে গর্বিত করলেন ২১ বছরের তরুণী হারনাজ সান্ধু। বলা ভাল মিস ইউনিভার্স ২০২১ হারনাজ সান্ধু। সোমবার সকালে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেন চণ্ডিগড়ের এই মেয়ে।
মিস ইউনিভার্স ২০২১ -এর খেতাব জেতার পর ভারতীয় ডিভাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। ২১ বছরের খরা কাটিয়ে যে তরুণী দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে আরও একবার সৌন্দর্যের মূল সত্ত্বাকে প্রকাশ করেছেন তাঁকে নিয়ে চর্চা হওয়া স্বাভাবিক। আর সেটা খবরের কাগজ, টিভি ও সোশ্যাল মিডিয়ায়তে বার বার উঠে আসছে। তবে প্রশ্ন জাগলেও এখনও পর্যন্ত অনেকেই জানেন না যে, মিস ইউনিভার্স মৌওয়াদ পাওয়ার অফ ইউনিটি ক্রাউনের মূল্য কত?
মিস ইউনিভার্সের সুন্দর মুকুট ইতিহাসে বহুবার পরিবর্তন করা হয়েছে। ২০১৯ সালে মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন শিরোনাম মুকুট ডিজাইন করার জন্য মৌওয়াদ জুয়েলারি নির্বাচন করেছিল। মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশনের সাথে যুক্ত মূল্যবোধ থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে মুকুট তৈরি করা হয়। নারী শক্তি, নারীর ক্ষমতায়ন এবং বন্ধন, সবটা একত্রিত করে, মৌওয়াদের ডিজাইনাররা মৌওয়াদ পাওয়ার অফ ইউনিটি ক্রাউন তৈরি করেন। এ বছরের মুকুটের দাম প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় তা ৩৭ কোটি টাকা। আর এটাই হল বিশ্বের সবচয়ে ব্যয়বহুল সৌন্দর্য প্রতিযোগিতার মুকুট।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বৈচিত্র্য, নারী ও সৌন্দর্যের প্রতীক হল এই মুকুট। ২০১৯ সালে মিস সাউথ আফ্রিকা জোজিবিনি তুনজি ও ২০২০ সালে মিস মেক্সিকো আন্দ্রেয়া মেজা বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুকুট পরেছিলেন। এবছর মিস ইন্ডিয়া হারনাস সান্ধু সব রেকর্ড ভেঙে বিশ্বের সবচেয়ে দামী মুকুটকে মাথায় তুলে নিয়েছেন নিজের প্রতিভা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে।
প্রকৃতি, শক্তি, সৌন্দর্য, নারীত্ব ও একতা দ্বারা অনুপ্রাণিত ওই মূল্যবান মুকুটটিতে খচিত রয়েছে ১৭২৫টি সাদা হিরে ও তিনটি সোনালী ক্যানারি হিরে। পাতা, পাপড়ি ও লতা গুল্মের ডিজাইনের অসাধারণ সুন্দর মুকুটটি সাত মহাদেশের প্রতিনিধিত্বের স্মারক। মুকুটের কেন্দ্রবিন্দুতে একটি চমত্কার সোনালী ক্যানারি হিরে রয়েছে, যার ওজন প্রায় ৬২.৮৩ ক্যারেট।
প্রসঙ্গত, সুস্মিতা সেন ও লারা দত্তের পর, ফের দেশকে উজ্জ্বল করে তৃতীয় ভারতীয় মহিলা হিসে মিস ইউনিভর্সের খেতাব জিতলেন হারনাজ।