‘আমার পরাণ ভরা ভালবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম’- বিয়ের সাজেই প্রাণের মানুষের কাছেই প্রেমের প্রতিশ্রুতি রাখলেন নববধূ পত্রলেখা। সোমবার নিউ চণ্ডীগড়ের বিলাসবহুল একটি রিসর্টে বিয়ের আসর বসেছিল। দীর্ঘ ১১ বছরের প্রেম এবার পেল স্বীকৃতি। বিয়ের কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই ভাইরাল হয়ে যায় রাজকুমার রাও ও পত্রলেখার বিয়ের সাজ।
বাঙালি সাবেকি সাজেই সেজেছিলেন কনে পত্রলেখা। শাঁখা-পলা, সিঁদুর, আলতার ছোঁয়ায় পত্রলেখা যেন আরও বেশি বাঙালি কন্যে হয়ে উঠেছিলেন। সবচেয়ে বেশি নজর কেডেছে লাল ওড়না। যেখানে বাংলায় লেখা রয়েছে এই প্রেমের পংক্তিটি। বাঙালি ভাবধারা ও ঐতিহ্যকে আরও একবার সকলের সামনে প্রকাশ করলেন কলকাতার ফ্যাশন ডিজাইনার সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়।
১৫ নভেম্বর, চণ্ডীগড়ে একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে সাতপাতে বাঁধা পড়েন এই লাভবার্ডস। রাজকুমার এবং পত্রলেখা উভয়েই তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবিগুলি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে বিয়ের পোশাক নিয়ে।
বিয়ের দিন রাজকুমার বেছে নিয়েছিলেন সাদা শেরওয়ানি। সঙ্গে মুক্তোর বড় হার। সঙ্গে লাল পাপড়ি। অন্যদিকে লাল বেনারসি শাড়িতে ও গয়না অপরূপা লেগেছিল পত্রলেখাকে। সব্যসাচীর ডিজাইন করা শাড়ি যে পরবেন, তার আগাম একটা আভাস দিয়েছিলেন তিনি। সাবেকি বাঙালি সাজের মধ্যেও ছিল অভিনবত্বের ছোঁয়া। এমব্রয়ডারি করা লাল ওড়নার পারে বাংলায় একটি প্রেমের সুন্দর বার্তা লেখা ছিল, “আমার পরান ভরা ভালোবাসা আমি তোমায় সমর্পণ করিলাম।” এছাড়া পোলকার ডিজাইনে তৈরি করা মাথা মাট্টি, ভারী চোকার, কানের দুল দিয়ে একেবারে রাজকীয় বেশে সেজেছিলেন পত্রলেখা। সঙ্গে হাতে সোনার কড়া ও কুন্দনের চুড়িও পরেছিলেন। বাঙালি বধুর হাতে শাঁখা-পলা মাস্ট। সেটিও পরতে ভোলেননি তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের বিয়ের ছবি পোস্ট করে রাজকুমার রাও ক্যাপশনে লিখেছেন, ”অবশেষে ১১ বছরের প্রেম , রোম্যান্স, বন্ধুত্ব ও আনন্দ করার পর, আমি আজ আমার সবকিছু, আমার আত্মার সঙ্গী, আমার সেরা বন্ধু, আমার পরিবারের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধলাম। আজ তোমার স্বামীর তকমা পাওয়ার চেয়ে এর চেয়ে বেশি আনন্দ আর কিছুতে নেই।”
অন্যদিকে পত্রলেখাও নিজের প্রোফাইলে ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ”আজ আমার সবকিছুর সঙ্গে সাত পাকে বাধা পড়লামষ আমার প্রেমিক, আমার অপরাধের অংশীদার, আমার পরিবার, আমার আত্মার বন্ধু। গত ১১ বছর ধরে আমার সেরা বন্ধু! তোমার অর্ধাঙ্গিনী হওয়ার চেয়ে বড় অনুভূতি আর কিছুতে নেই। এখন আমরা চিরকালের জন্য আবদ্ধ হলাম।”
প্রসঙ্গত, রাজকুমার রাও এবং পত্রলেখা এক দশকেরও বেশি সময় ধরে একে অপরের সঙ্গে প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ ছিলেন। এবার সেই প্রেমই স্বীকৃতি পেল। ২০১৪ সালে সিটিলাইটস-এর মাধ্যমে রাজকুমারের সঙ্গে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন পত্রলেখা।
আরও পড়ুন: Bollywood: এনগেজমেন্টে স্নিকার্সের সঙ্গে সাদা আউটফিট! অভিনব চমক রাজকুমার রাও-পত্রলেখার