করওয়া চৌথ অনুষ্ঠানে বলিউডের নায়িকাদের ফ্যাশনেবল পোশাকের উপর যে ফ্যানেদের বিশেষ কৌতূহল থাকে, তা বলাই বাহল্য। বিশেষ দিনে সেরা পোশাকের ঝলক পরিপূরি্ণতা পায়। করওয়া চৌথের মূল উদ্দেশ্যই হল, স্বামীর মঙ্গলকামনা প্রার্থনা করা। ফলে বৈবাহিত সমস্ত সূত্রগুলিকে একসঙ্গে বেংধে রাখার চেষ্টা করেন মহিলারা। সে তারকাই হোক, বা সাধারণ। বিবাহের অন্যতম জিনিস মঙ্গলসূত্রকে এইদিন বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। সাধারণত কালো সুতো বা সোনার চেইনে জড়ানো কালে পুঁতি-সহ নেকলেশ।
হিন্দু বিবাহিত মহিলাদের কাছে সিঁদুর, শাখা-পলা বা চূড়া, আলতা যেমন খুব দামি তেমনি মঙ্গলসূত্রও একাধারে অন্যতম দামি। করওয়া চৌথের দিন বলিউডের সুন্দরী নায়িকাদের ফ্যাশনের ঝলক দেখার জন্য ইন্সটাগ্রামের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়ার উপর ঝুঁকি মেরেছিল ফ্যানেরা। তবে সাজপোশাক যাই হোক না কেন, তারকারা এই দিনটি হিন্দু মতেই মেনে চলেন। মঙ্গলসূত্র পরে, সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে স্নামীর দীর্ঘায়ুর কামনা করেছেন। এদিন সামনে এসেছেন বলিউডের দুই সুন্দরী নায়িকা। সোনালী বেন্দ্রে ইয়ামি গৌতম। লাল শাড়া ও শালোয়ার কামিজে দুজনকেই অপূরূপা লেগেছে। কিন্তু লক্ষ করেছেন কী, দুই নায়িকার মঙ্গলসূত্রে একই রকম দেখতে। আর সেটাই বেশি করে নজরে পড়েছে সকলের।
সোনালীকে দেখা গিয়েছে মনীশ মলহোত্রার ডিজাইনে তৈরি করা সুন্দর লেহেঙ্গায়। অন্যদিকে ইয়ামি লাল ও সোনালী রঙের শাড়িতে নিজেকে সাজিয়ে তুলেছিলেন পরম যত্নে। এত সুন্দর পোশাকের মাঝেও ফুটে উঠছিল বুলগারির মঙ্গলসূত্র নেকলেশ। ১৮ ক্যারটের সোনার তৈরি নেকলেশটি বৃত্তাকার কালো গোমেদ ও হীরে দিয়ে সাজানো।
বুলগারির মঙ্গলসূত্র একটি ঐতিহ্যবাহী ও পবিত্র অলঙ্কার, যেটি সমসামায়কি ও আড়ম্বরপূর্ণ গয়নার মধ্যে অন্যতম। আধুনিক নববধূদের কাছেও একটি আকাঙ্খার গয়না, যা ভারতীয় সংস্কৃতিকে নিয়ে বয়ে চলে। ভাবছেন এই সুন্দর মঙ্গলসূত্রের দাম কত হবে? ভারতীয় মুদ্রায় এর দাম প্রায় ৩.৪৯ লক্ষ টাকা।
সোনালী বা ইয়ামিই নয়, সম্প্রতি একটি ফটোশ্যুটে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াকেও একই মঙ্গলসূত্র পরতে দেখা গিয়েছিল। তিনি আবার এই ব্র্যান্ডেরই গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও বটে।
আরও পড়ুন- Saree Care Tips: আলমারিতে শাড়ি তুলে রাখার আগে এই ৮টি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত