Constipation: রোজ রাতে ইসবগুলের বদলে পাতে দিন এই ৫ খাবার, নিমেষে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট!

Gut Healthy: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেকেই রাতে শোওয়ার আগে ইসবগুল জলে বা দুধে ফেলে খান। কিন্তু সেই ইসবগুল খাওয়া বন্ধ করলেই ফের এক সমস্যা দেখা যায়।

Constipation: রোজ রাতে ইসবগুলের বদলে পাতে দিন এই ৫ খাবার, নিমেষে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট!
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 25, 2023 | 12:48 PM

আমাদের শরীরের পরিপাকতন্ত্রে প্রায় ২০০ রকমের বিভিন্ন প্রজাতির ব্যকটেরিয়া, ভাইরাস ও ছত্রাক রয়েছে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকা ডায়াবেটিস , অন্ত্রের রোগ, গ্যাসের সমস্যা এমনকি সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসের মতো অবস্থার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হওয়া মানেই অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে ব্যাঘাত ঘটা। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক না থাকলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। যা জীবনযাত্রার অভ্যেসের মাধ্যমে এই সমস্যা ঠিক করা যেতে পারে। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা সম্প্রতি একটি ইন্সটাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি লিখেছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য অন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সবচেয়ে সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম। কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অনেকেই রাতে শোওয়ার আগে ইসবগুল জলে বা দুধে ফেলে খান। কিন্তু সেই ইসবগুল খাওয়া বন্ধ করলেই ফের এক সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু কোষি্ঠকাঠিন্যের চিকিত্‍সার জন্য পাঁচটি ঘরোয়া প্রতিকার রয়েছে, সেগুলি এখানে জেনে রাখুন…

দই ও ফ্লেক্স সিডসের গুঁড়ো

দইয়ে রয়েছে বিফিডোব্যাকটেরিয়া ল্যাকটিস নামক ইকোফ্রেন্ডলি ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক, যা হজম প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ফ্লেকস সিডসের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এই ফাইবার জলের মধ্যে খুব দ্রুত গুলে যায়, যা মলকে নরম করতে সাহায্য করে।

আমলা জুস

আমলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। তাই অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলে পুষ্টিবিদদের মত। সকালে উঠে প্রথমে একগ্লাস জলের সঙ্গে ৩০ মিলি আমলার রস মিশিয়ে খেলে হজমশক্তি বাড়াতে ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে সাহায্য করে।

ওট ব্রান: ওট ব্রানেও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয়, উভয় ফাইবারই রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে ও অন্ত্রকে সুস্থ রাখতে ওটস ব্রান খাওয়া যেতে পারে।

ঘি ও দুধ

ঘি হল বিউটরিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উত্‍সস্থল, যা অন্ত্রের বিপাককে উন্নত করে ও মলত্যাগের সমস্যাকে উপশম করে। শুতে যাওযার সময় এক কাপ গরম দুধে ১ চা চামচ ঘি খাওয়া হলে পরের দিন সকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

শাকসবজি

সবুজ শাক-সবজি যেমন পালং শাক, ব্রকলি, ব্রাসেলস স্প্রাউট ও ব্রোকলি শুধুমাত্র ফাইবার সমৃদ্ধ তাই নয়, এতে রয়েছে ফোলেট ও ভিটামিন সি ও কে-এরও দুর্দান্ত উত্‍সস্থল। সবুজশাকসবজিগুলিমলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। এতে মলত্যাগের সমস্যা সহজেই অতিক্রম করতে পারে।

পানীয় জল

সব পুষ্টিবিদদর একমত, যে কোনও অবস্থায় রোগমুক্ত থাকতে সারাদিনে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। কোষ্ঠকাঠিন্যের অন্যতম কারণ হল পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করে। বিশেষ করে জলের মধ্য়ে যদি উচ্চমাত্রায় ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তাহলে তার উপকারিতা পাওয়া আরও সহজ হয়ে যায়।