খরবেলা হোক কিংবা প্যাচপেচে বর্ষার দুপুর! হাতে যদি থাকে ঠান্ডা বিয়ারের বোতল, সব আবহাওয়াই কন্ট্রোলে চলে আসে অনায়াসে! এমনকী ঘরোয়া পার্টির মেজাজ ধরতেও জুড়ি নেই বিয়ারের। তবে জানলে অবাক হবেন, বিয়ার শুধু বোতলবন্দি থেকেই মুড বানায় এমন নয়! চাইলে বিয়ার দিয়ে স্বল্প আয়াসে বানিয়ে ফেলা যায় তোফা স্বাদের ককটেল! এমনকী অন্যান্য ধরনের স্পিরিটের তুলনায় বিয়ার দিয়ে ককটেল তৈরি করা বেশি সহজ। প্রশ্ন হল বানাবেন কীভাবে?
ককটেলে কোন বিয়ার?
গমের তৈরি বিয়ার সামান্য তেতো, ধোঁয়াপোড়া, টক স্বাদ আনে জিভে! এককথায় স্ট্রং বিয়ার তৈরি হয় গম থেকে। এই ধরনের বিয়ারের ককটেল তৈরিতে যোগ্য সঙ্গত দিতে পারে চকোলেট এবং গাঢ় কফি!
ঝাঁকানো যাবে?
একাধিক উপকরণ পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে যাওয়ার উপরেই নির্ভর করে নিখুঁত ককটেলের স্বাদ! এই প্রসঙ্গেই জানিয়ে রাখি, সব ককটেল ঝাঁকিয়ে তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। ককটেলে নির্দিষ্ট কিছু উপাদান যেমন দুধ, ক্রিম লিকার, ফ্রুট জ্যুস, ডিম যোগ করলে তবেই পানীয় ঝাঁকাতে হয়। বিয়ার কার্বোনেটেড ড্রিংক। ফলে যত বেশি ঝাঁকানো হবে ততই ভালো ফল মিলবে! তবে ককটেল বানানোর সময় একটু সতর্ক থাকতে হয় যাতে পানীয় ছড়িয়ে না পড়ে। তাই আগে স্পিরিটের সঙ্গে জ্যুস মিশিয়ে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিন। এরপর সেই পাত্রে ধীরে ধীরে যোগ করুন বিয়ার।
নুন!
শুনেই আশ্চর্য লাগছে? বিয়ারে আবার নুন! অবিশ্বাস্য লাগলেও বিয়ারে একবার নুন যোগ করার পর আপনি আর পিছন ফিরে তাকাবেন না। নুন বিয়ারের স্বাদকে আরও ‘শার্প’ তৈরি করে! বিয়ার ককটেল হয়ে যায় আরও সুস্বাদু। জানলে অবাক লাগবে, বহু বিয়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাই বিয়ারের স্বাদ উন্নত করার জন্য নুন যোগ করে।
একযোগে ভিন্ন বিয়ার!
অ্যালকোহলের মাত্রা থাকে সামান্য! অথচ এক চুমুকেই দেয় স্বস্তিদায়ক তরতাজা ‘আঃ’ অনুভূতি। একবার দু’টি আলাদা ধরনের বিয়ার একসঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। নিশ্চিতভাবে ভিন্ন অনুভূতি পাবেন।
বিয়ারে ফল!
বিয়ারে যোগ করুন ব্লুবেরি আর রাস্পবেরির ফ্লেভার। অন্য ধরনের অভিজ্ঞতা হবে। চাইলে অন্যান্য ফলের ফ্লেভারও যোগ করে দেখতে পারেন। ভালো হয় সরাসরি ফলের রস মেশাতে পারলে। এমনকী মেশানো যেতে পারে ফ্রুট পিউরি
শেষ কথা
গরিব-বড়লোক সকলের পেয় বিয়ার! তাই এই আন্তর্জাতিক বিয়ার দিবসে একটা বিয়ারের ককটেল না বানালে কি চলে? কী বলেন আপনারা?
আরও পড়ুন: নামেই বিয়ার, নেই কোনও অ্যালকোহল! খেয়েছেন কোনও দিন?