Honey And Curd Benefits: যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানের সূচনায় থাকে মধুপর্কের বাটি। আর্যদের সময় থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। দুধ,মধু, ঘি, দই- মিশিয়ে বানানো হয় এই মধুপর্ক। আর্য়ুবেদ মতে এই সব উপাদানেরই কিন্তু বেশ কিছু গুরুত্ব রয়েছে। শরীর সুস্থ রাখতে দুধ, মধু, ঘি, দই এই সবকটি উপাদানই খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এই মধুপর্ক কিন্তু খেতেও বেশ ভাল। গরমের দিনে দই খাওয়া খুবই ভাল। এতে শরীর ঠান্ডা থাকে, সেই সঙ্গে অন্ত্রে প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়াও তৈরি হয়। এছাড়াও দই কিন্তু হজমেও ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। একসই সঙ্গে মধুরও কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। তবে দইয়ের সঙ্গে যদি কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নেন, তাহলে যেমন উপকারিতা বাড়বে তেমনই শরীরের একাধিক সমস্যাও দূর হয়ে যাবে।
মধুর মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। সেই সঙ্গে আছে গুরুত্বপূর্ণ কিছু খনিজ, এনজাইম। আছে ভিটামিন, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, পটাশিয়াম। এছাড়াও মধুর মধ্যে থাকে ১৭ শতাংশ জল,৩১ শতাংশ গ্লুকোজ এবং ৩৮ শতাংশ ফ্রুক্টোজ। এক টেবিল চামচ মধুতে ৬৪ ক্যালোরি এবং ১৭.৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে, যার মধ্যে ১২ গ্রামের বেশি শর্করা থাকে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, যাঁদের শরীর দুর্বল তাঁরা যদি রোজ গরম জলে মধু মিশিয়ে খান তাহলে কিন্তু একাধিক উপকারিতাও রয়েছে। তবে যাঁদের সুগার রয়েছে তাঁদের অতিরিক্ত মধু না খাওয়াই ভাল।
দইয়ের উপকারিতা নিয়ে নতুন করে বলবার কিছুই নেই। চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথের মতে, দই প্রোটিন এবং ক্যালসিয়াম এবং প্রোবায়োটিকের খুব ভালো উৎস। ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে, হজমের উন্নতি করতে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া থেকে পেটকে রক্ষা করে। এক কাপ টকদইয়ের মধ্যে কম প্রায় ৪১৫ মিলিগ্রাম ক্যালশিয়াম থাকে। মিষ্টি দই বা অন্যান্য ফ্লেভারযুক্ত দই কিন্তু শরীরের জন্য খুব যে ভাল তা নয়। সব সময় বাড়িতে পাতা টকদই খাোয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। যদি পছন্দের ফলের স্বাদে দই খেতে চান তাহলে তা বানিয়ে নিন বাড়িতেই।
এবার জেনে নিন এই দই-মধুর মিশ্রণের উপকারিতা কতখানি-
*দই এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন আর মধুর মধ্যে থাকে কার্বোহাইড্রেট। যাঁরা নিয়মিত ভাবে ব্যায়াম করেন তাঁদের জন্য কিন্তু এই মিশ্রণ ভীষণ ভাবে উপকারী। পেশির শক্তি বজায় রাখতে এই মিশ্রণ খুবই কার্যকরী। জিম বা ওয়ার্কআউটের পর এই দই একবাটি খেলে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
*মধু আর দই- এই দুই কিন্তু প্রোবায়োটিক হিসেবে পরিচিত। দইয়ের মধ্যে রয়েছে প্রোবায়োটিক ল্যাকটোব্যাসিলাস, যা পেট খারাপের সমস্যার হাত থেকে রেহাই দেয়। গরমে অনেকেই পেটের সমস্যায় ভোগেন। ফলে গরমের দিনে এই দই-মধুর মিশ্রণ খেলে কিন্তু অন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় থাকে।
*মেয়েদের শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ এমনিই কম থাকে। সেই সঙ্গে একটা বয়সের পর দেখা দেয় ভিটামিন ডি এর অভাব। এই অভাব পূরণের জন্য কিন্তু খেতে পারেন দই-মধু। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন কিংবা মিড-মর্নিং স্ন্যাকস হিসেবেও খেতে পারেন।
আরও পড়ুন: Ginger Tea: এই চা খেয়েই দিন শুরু হয় ইয়ামির, সুস্থ থাকতে চুমুক দিন আপনিও