Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Wedding: বিয়ে মিটতেই বেঁচে যাওয়া খাবার নিয়ে স্টেশনে হাজির বরের দিদি, পাত পেড়ে খাওয়ালেন ১২০০ ফুটপাথবাসীকে

Kind-hearted: এটাই প্রথম নয়, এর আগেও এমন মানবিক মনের পরিচয় দিয়েছেন পাপিয়া। প্রায়শই তিনি খাবার তুলে দেন ফুটপাথবাসীর হাতে

Wedding: বিয়ে মিটতেই বেঁচে যাওয়া খাবার নিয়ে স্টেশনে হাজির বরের দিদি, পাত পেড়ে খাওয়ালেন ১২০০ ফুটপাথবাসীকে
এই ছবিই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2021 | 4:59 PM

বিয়েবাড়ি মানেই সাজগোজ আর সঙ্গে জমিয়ে ভোজন পর্ব। বাঙালি বিয়েবাড়ি হলে তো কথাই নেই। দিন শুরু হয় লুচি-তরকারিতে, তারপর একে একে ইলিশ, চিংড়ি, মাটন, ভেটকি, পকোড়া, বিরিয়ানি, ফ্রায়েডরাইস, পনির, নান, মিষ্টি…চলতেই থাকে লম্বা তালিকা। বন্ধু-আত্মীয়দের আদর-আপ্যায়নে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চান না নিমন্ত্রণ কর্তারা। আর তাই এই আয়োজন। খাওয়ার যাতে কোনও ভাবেই কম না পড়ে তার জন্য। নিমন্ত্রিত অতিথির তুলনায় একটু বেশিই রান্না করা হয়। যে কোনও অনুষ্ঠান বাড়িতেই বেশ কিছু পরিমাণ খাবার বেঁচে যায়, এ আর নতুন কী! অনেকেই তা বিলিয়ে দেন বন্ধু আত্মীয়দের মধ্যে। অনেক বাড়িতে খাবার নষ্টও হয়। কিন্তু খাবার নষ্ট হোক, এমনটা মন থেকে চান না কেউই। এখন অবশ্য অনেকেই বেঁচে যাওয়া খাবার তুলে দেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হাতে।

এমনটাই করলেন রানাঘাটের পাপিয়া কর। ৫ ডিসেম্বর ছিল তাঁর ভাইয়ের বৌভাতের অনুষ্ঠান। ভাইয়ের রিসেপশন পার্টিতে অনেকটাই খাবার বেঁচে গিয়েছিল। আর তাই অনুষ্ঠান পর্ব মিটতেই ভ্যানে খাবার চাপিয়ে রাত ১টা-তেই তিনি হাজির হন রানাঘাট স্টেশনে। স্টেশনে উপস্থিত সব ফুটপাথবাসীর হাতে নিজে তুলে দেন খাবার। পাত পেড়ে প্রায় ১২০০ মানুষকে তিনি খাওয়ান ওই রাতে। মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, সবজি, রুটি-সহ আরও কিছু খাবার। সেই রাতে সব বয়সের সব মানুষই এসে উপস্থিত হন রানাঘাট স্টেশনে। সবার হাতেই খাবার তুলে দেন পাপিয়া। সন্ধ্যের অনুষ্ঠানে খাঁটি বাঙালিয়ানায় সেজেছিলেন তিনি। আর সেই বেশেই তিনি স্টেশনে হাজির হন খাবার নিয়ে।

নীলাঞ্জন মন্ডল নামের এক ফটোগ্রাফার তখন উপস্থিত ছিলেন ঘটনাস্থলে। তিনিই পাপিয়ার ছবি তোলেন। পরবর্তীতে সেই ছবি তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর এর পরই পুরো ঘটনা জনসমক্ষে আসে। তাঁর এই মানসিকতার জন্য সকলেই তাঁকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানের ধকল শেষে ওই রাতেই যে তিনি এত খাবার নিয়ে এসেছেন সকলের জন্য তাতেই আপ্লুত সকলে। কিছু মানুষের কাছে তো তিনি ‘সাক্ষাৎ অন্নপূর্ণা’।

ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর স্থানীয়রা জানান, এটা প্রথমবার নয়। এর আগেও পাপিয়া বহুবার এমন ভাল কাজের উদ্যোগ নিয়েছেন। সুযোগ পেলেই তিনি মানুষের পাশে দাঁড়ান। রাস্তার ধারে ক্ষুধার্ত মানুষের মুখে প্রায়শই অর্থ তুলে দিতে দেখা যায় তাঁকে। পাপিয়াকে দেখে এমন আরও অনেক মানুষ এগিয়ে আসবেন, এমনটাও বলছেন অনেকে।

একজন তো সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেই ফেললেন,’ আমি জানি না কবে বিয়ে করব। কিন্তু দরিদ্র মানুষগুলোর মুখে কিছুটা পরিমাণ খাবার আমি নিশ্চয় তুলে দেওয়ার চেষ্টা করব। এমন একটা স্বপ্ন আমি বহুদিন ধরে দেখছি’।

এমন মানবিকতার পরিচয় পেয়ে অভিভূত সকলেই। একজন লেখেন, ‘প্রতিদিন নানা কারণে আমাদের বাড়িতে কত খাবার নষ্ট হয়। কিন্তু সেই খাবার যদি ফেলে না দিয়ে আমরা বাঁচিয়ে রাখি এবং এভাবে মানুষের মুখে তুলে দিই তাহলে আর কেউই না খেয়ে থাকবেন না’। এমন সুন্দর ঘটনা তুলে ধরার জন্য অনেকেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন ফটোগ্রাফারকেও।

আরও পড়ুন: Beetroots For Winter: শীতের বাজারে গাজরের সঙ্গে পাতে পড়ুক বিটও! জেনে নিন উপকারিতা