Viral: কলকাতার কিশোর-কন্ঠী চাওয়ালার কীর্তিতে মুগ্ধ নেটপাড়া! ভিডিয়ো দেখলে মন গলবে আপনারও

' ১০ বছর বয়স থেকে কিশোর কুমারের গানের পরম ভক্ত। সেই ছোট্ট বয়স থেকেই তাঁকে অনুসরণ করে গান গেয়ে চলেছেন। তিনিই আমার গুরু।'

Viral: কলকাতার কিশোর-কন্ঠী চাওয়ালার কীর্তিতে মুগ্ধ নেটপাড়া! ভিডিয়ো দেখলে মন গলবে আপনারও
কলকাতার চাওয়ালার কীর্তিতে মজেছেন নেটিজ়েনরা

| Edited By: দীপ্তা দাস

Aug 11, 2021 | 10:23 AM

দেশের কোণায় কোণায় কত যে প্রতিভা লুকিয়ে রয়েছে, তার কয়েক ঝলক দেখলেই অবাক হতে হয়। তবে এই প্রতিভাধরদের সামনে আনার জন্য় সোশ্যাল মিডিয়ার অনেক বড় ভূমিকা রয়েছে। ভারতীয়রা খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোনও আফসোসের জায়গা থাকতে চায় না। বাঙালি আবার আরও একটা ধাপে এগিয়ে। বাহালির মনে-প্রাণে রবীন্দ্রনাথ, কিশোর কুমার মান্না দে। তাই গান-বাজনা, খাওয়া-দাওয়া এই নিয়ে বাঙালি রসে-বসে -সবতেই রয়েছে। সাম্প্রতিক কালে কলকাতার আরও একটি উজ্জ্বল ও বিরল প্রতিভাধরের ভিডিয়ো সামনে এসেছে, সেই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে।

কলকাতার বেনিয়াটোলা লেনের পুরনো বাড়ির ভিড়ের মাঝে একচিলতে চায়ের দোকানের মালিক পল্টন দাস। ৫৬ বছর বয়সি এই চাওয়ালাকে নিয়ে ভাইরাল হওয়ার কারণ কী? চা বিক্রি করতে করতে নিজেই কিশোর কুমারের বিখ্যাত সব গান গেয়ে থাকেন। কিশোর-অন্তপ্রাণ এই ৫৬ বছরের ব্যক্তি নিজে মাইক নিয়ে গান গেয়ে চা তৈরি করেন, গরম গরম ধোঁয়া ওঠা চা পরিবেশন করেন। সব্য়সাচী-স্বরূপ এই ব্য়ক্তির হাতে থাকে একটি মাইক, ব্যাকগ্রাউন্ডে চলে কিশোর কুমারের স্বর্ণযুগের সব গানের মিউজিক। চা তৈরি করতে করতে, পরিবেশন করতেই মিউজিকের তালে ঠিক সুর দিয়ে গান গেয়ে ওঠেন।

এখানেই শেষ নয়, ১৯৭৩ সালে ব্লকবাস্টার নমক হারাম সিনেমার চিরন্তন গান ম্যায় সায়ার বদনাম ক্লাসিক গানের সুরে গান গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এমন সুরসাধক, কিশোরপ্রেমী চাওয়ালার ভিডিয়ো কয়েক সেকেন্ডেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। বিশেষত হোয়াটসঅ্য়াপে এই ভিডিয়ো ঝড়ে গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।

এএনআইয়ে একটি সাক্ষাত্কারে এই মধ্যবয়স্ক চাওয়ালা জানিয়েছেন,’ ১০ বছর বয়স থেকে কিশোর কুমারের গানের পরম ভক্ত। সেই ছোট্ট বয়স থেকেই তাঁকে অনুসরণ করে গান গেয়ে চলেছেন। তিনিই আমার গুরু।’

স্বপ্ন ছিল, বড় হয়ে সংগীত শিল্পী হবেন। কিন্তু বাবা মারা যাওয়ার পর পরিবারের সব দায়-দায়িত্ব কাঁধে এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। সংসারে আর্থিক সমস্যা কাটাতে স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে রোজগারের টানে চায়ের দোকান চালাতে বাধ্য হয়। তবে এত কষ্ট, এত লড়াইয়ের মাঝেও তাঁর ইচ্ছাকে কখনও দমিয়ে রাখেননি। সেই ইচ্ছে কখন তাঁর পেশার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে, তা নিজেই বুঝতে পারেননি পল্টন দাস। ৭০ দশকে স্থানীয় বহু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিশোর কুমারের গান গেয়ে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন। তারপর বহু স্টেজ শো-ও করেছেন তিনি।

এই জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, ৩৫০টিরও বেশি কারাওকে ট্র্যাকে রয়েছে কিশোর কুমারের গান। প্রতিদিন সেই যন্ত্রের সঙ্গে তাল মিলিয়েই মাইক্রোফোনে করে গান গেয়ে চা বিক্রি করেন।

কলকাতায় এমন অসাধারণ চায়ের স্টলে একবার ঢুঁ মারতে চান?সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে সেই অভিজ্ঞতা আমাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। কমেন্ট করতে পারেন এখানেও।

 

আরও পড়ুন: Teej 2021: সুখী দাম্পত্যে আনুন মিষ্টির ছোঁয়া, বাড়িতেই বানান এই ডেসার্টগুলি