শীতের সবজি মানেই তালিকায় প্রথমেই থাকে পালং, শিম, মটরশুঁটি। এছাড়াও বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, ওলকপি এসব তো আছেই। পালং শাক শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। তবে সারাবছর কিন্তু পালং পাওয়া য়ায় না। বছরে মাত্র এই কয়েকমাসই বাজারে তা মেলে। পালং শাক দিয়ে রকমারি রান্না করা যায়। তার মধ্যে পালং চিকেন আর পালং পনির কিন্তু শীতের দিনে দারুণ হিট। রুটি, পরোটা কিংবা ফ্রায়েডরাইস, পোলাওয়ের সঙ্গে খেতে বেশ লাগে পালং শাকের এই সব পদ। পালং শাকের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে, ফাইবার, ফসফরাস, থিয়ামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এর মধ্যে থাকা ক্যালোরির বেশির ভাগ অংশই হল প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট।
এছাড়াও পালং শাকের মধ্যে থাকে আলফা-লিপোইক অ্যাসিড। যা একরকম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এবং যে কারণে ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য এত ভাল পালংশাক। কারণ ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এই পালং শাক। এছাড়াও পালং শাকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। থাকে লিউটিন, ফোলেট, ভিটামিন কে- যা ওজন কমাতে এবং কোলেস্টেরল কমাতেও কিন্তু সাহায্য করে।
পালং শাক দিয়ে চিংড়ি
কোনও কিছুর সঙ্গে চিংড়ি পড়লেই সেই তরকারির স্বাদ একেবারে আলাদাই হয়। কড়াইতে তেল গরম করে নিন। সাদা তেল বা সরষের তেল নিতে পারেন। এবার এর মধ্যে গোটা জিরে, পেঁয়াজ কুচি ফোড়ন দিন। তিন থেকে চারটে কাঁচালঙ্কা চিরে দিয়ে দিন। এবার আদা-রসুন বাটা ১ চামচ, আদা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। ২৫০ গ্রাম চিংড়ি নিন। মাঝারি মাপের নিলেই চলবে। চিংড়ি আগে থোকে ধুয়ে নুন মাখিয়ে রাখুন। এবার তা মশলার সঙ্গে কষিয়ে নিন। সামান্য জল দিন। চিংড়িতে খয়েরি রং ধরলে পালং শাক দিয়ে দিন। তবে পালং শাক কিন্তু কুচি করবেন না। বড় পাতা দিন। পালং শাক থেকে যে জল বেরোবে তাতেই হয়ে যাবে বাকি রান্নাটা। গরম ভাতের সহ্গে কিন্তু ভাল লাগে এই পদ।
পাবদা পালং এর ঝোল
পাবদা মাছ একেবারেই হালকা করে ভেজে নিন। এবার ওই তেলেই গোটা গরম মশলা, আদা-রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, টমেটো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন। স্বাদমতো জিরে গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ দিন। ভাল করে কষা হয়ে এলে জল দিয়ে মাছ ছেড়ে দিন। উপর থেকে পালং শাক আর ধনেপাতা দিয়ে কষিয়ে নিন। তবে বেশি শুকিয়ে দেবেন না। এই রান্না কিন্তু বেশ ঝোল ঝোল হয়। গরম ভাতের সঙ্গে বেশ লাগে।
পালং দিয়ে মুসুর ডাল
পালং দিয়ে মুসুর ডাল বানালে তার উপকারিতা কিন্তু বেড়ে যায় আরও কয়েক গুণ। কড়াইতে সামান্য তেল দিয়ে কালোজিরে ফোড়ন দিন। এবার ওর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি দিয়ে নেড়ে ডাল দিন। এবার স্বাদমতো নুন আর হলুদ দিয়ে ডাল দিয়ে জল দিন। ফুটে উঠলে পালংশাক দিয়ে দিন।