Nabanno: নবান্ন উত্সবে আচার মেনেই তৈরি করতে হল নবান্ন! ঐতিহ্যবাহী এই পদ বানাবেন কীভাবে, জানুন
নতুন আমন ধান ঘরে তোলার আনন্দে সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে এই ‘নবান্ন’ উৎসব পালিত হয়। এই উপলক্ষে নতুন চালের তৈরি পায়েশ-পোলাও, পিঠা-পুলিসহ রকমারি খাদ্য-সামগ্রী পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়।
নবান্ন উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি। নতুন ধান কাটা আর সেই ধানের প্রথম অন্ন খাওয়াকে কেন্দ্র করে পালিত হয় নবান্ন উৎসব। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। এ যেন সত্যি হৃদয়ের বন্ধনকে আরও গাঢ় করার উৎসব। হেমন্ত এলেই দিগন্তজোড়া প্রকৃতি ছেয়ে যায় সোনালি ধানের ক্ষেত। পাকা ধানের সোনালি রঙ দেখে কৃষকের মন ভরে যায় আনন্দে। কারণ, কৃষকের গোলা ভরে উঠবে ধানে। বছর ঘুরে আবার এসেছে অগ্রহায়ণ। বাঙালির প্রধান কৃষিজ ফল কাটার ক্ষণ। বাঙালির জীবনে পয়লা অগ্রহায়ণকে বলা হয়ে থাকে বার্ষিক সুদিন। এ দিনকে বলা হয় নবান্ন। নবান্ন হচ্ছে হেমন্তের প্রাণ।
‘নবান্ন’ শব্দের অর্থ ‘নতুন অন্ন’। নবান্ন ঋতু কেন্দ্রিক একটি উৎসব। হেমন্তে নতুন ফসল ঘরে তোলার সময় এই উৎসব পালন করা হয়। এই উৎসব পালিত হয় অগ্রহায়ণ মাসে। অগ্র অর্থ ‘প্রথম’। আর ‘হায়ণ’ অর্থ ‘মাস’। এ থেকে সহজেই ধারণা করা হয়, এক সময় অগ্রহায়ণ মাসই ছিল বাংলা বছরের প্রথম মাস। এ মাসটি আবহমান বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব ও মাটির সঙ্গে চির বন্ধনযুক্ত। নতুন আমন ধান ঘরে তোলার আনন্দে সাধারণত অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে এই ‘নবান্ন’ উৎসব পালিত হয়। এই উপলক্ষে নতুন চালের তৈরি পায়েশ-পোলাও, পিঠা-পুলিসহ রকমারি খাদ্য-সামগ্রী পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন সবাইকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো হয়। পাশাপাশি পালন করা হয় সামাজিকভাবে প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী নানা আচার-অনুষ্ঠান। ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী এসব আচার- আনুষ্ঠানিকতায় বৈচিত্র রয়েছে।আর এই নবান্ন উত্সবে বাঙালির ঘরে ঘরে পুজো পার্বণের মধ্যে তৈরি হয় এক বিশেষ সুস্বাদু পদ, যাকে নবান্ন বলা হয়ে থাকে। এই নবান্ন বানাতে গেলে কী কী উপকরণ ও কীভাবে তৈরি করবেন তা দেখে নিন একনজরে…
উপকরণ ১ কাপ চাল বাটা ১ কাপ নারকেল কোরা ১/২ কাপ নলেন গুড় ১/২কাপ ফলের কুচি (পছন্দমতো) ৪-৫ টা সন্দেশ
কীভাবে বানাবেন
এই নবান্ন কথা অর্থ ভারী হলেও নবান্ন তৈরি করা অত্যন্ত সোজা। এই বিশেষ পদটি তৈরি কর প্রথম একটি পাত্রের মধ্যে চাল বাটা ও গুড় দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর উপরের যে সব উপকরণ রয়েছে তা সামান্য দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন এবং ফল ও সন্দেশ দিয়ে মিশিয়ে নিন।