Parineeti Chopra: ডে অফে আম আর রসগোল্লা একসঙ্গেই সাঁটাচ্ছেন পরিণীতি চোপড়া, এমন সাহস আছে আপনার?
High Carb Food: রসগোল্লার মধ্যেও ঠাসা শর্করা। ১০০ গ্রাম রসগোল্লায় ১৮৬ ক্যালোরি থাকে। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগীদের জন্য একরকম বিষ
সেলেব মানেই তাঁকে থাকতে হবে ডায়েটের কড়া অনুশাসনে। মেপে খাওয়া, কোনও রকম কার্বস না খাওয়া, সন্ধ্যে ৭ টা বাজতে না বাজতেই ডিনার, সকালে নিয়ম করে লেবুজল আর তারপর সারাদিন ধরে ওয়ার্কআউট। ফিট আর ছিপছিপে তারকাদের দেখে এমনটাই ধারণা সাধারণ মানুষের। তবে সেলেব্রিটিরাও কবজি ডুবিয়ে খেতে পছন্দ করেন। বাড়তি মেদের তোয়াক্কা না করে চুটিয়ে খান। তেমনটাই করে দেখালেন পরিণীতি চোপড়া। বরাবরই খাদ্যরসিক পরিণীতি। কাজের ফাঁকে কখনও পিৎজায় কামড় তো, কখনও সামনে সাজানো প্লেটে বিরিয়ানি, পরোটা, মাটন ভুনা, মাটন কষা, পনির কী নেই সেখানে। দেশের বাইরে থাকলেও ভাত, রুটি, ডাল দেখলে তাঁর চোখে জল আসে। সোমবার ছুটির মেজাজে বাড়িতেই কাটল পরিণীতির। সঙ্গে মায়ের হাতের রান্না। টেবিল ম্যাটের উপর সুন্দর করে কলাপাতা বিছিয়ে রাখা। একটা বাটিতে লেবু, পেঁয়াজ,লঙ্কা। অন্য বাটিতে ডাল আর আচার। একদিক দিয়ে উঁকি মারছে পাঁপড়। এখানেই চমকের শেষ নয়। ডেজার্টে নায়িকা খেলেন গাছপাকা আম আর রসগোল্লা। ভাবতে পারছেন?
সব বাড়িতেই এখন প্রায়দিনই খাওয়া হচ্ছে পাকা আম। আমের মধ্যে তাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি। থাকে কার্বোহাইড্রেটও। অন্যদিকে রসগোল্লার মধ্যেও ঠাসা শর্করা। ১০০ গ্রাম রসগোল্লায় ১৮৬ ক্যালোরি থাকে। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং হার্টের রোগীদের জন্য একরকম বিষ। তবে রসগোল্লার বেশ কিছু পুষ্টিগুণও রয়েছে। যেমন রসগোল্লার মধ্যে থাকে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা গাঁটের ব্যতা এবং বাতের জন্য ভাল। থাকে ভিটামিন কে ও ম্যাগনেসিয়াম। যা হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িতে তুলতে খুব ভাল কাজ করে গরম রসগোল্লা। পুষ্টিবিদদের মতে রসগোল্লা হল হাই প্রোটিন ডায়েট। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটারি ফাইবার। যা হজম ক্ষমতা বাড়ায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও রোজ রসগোল্বা খেলে কিডনিতে পাথর হবার সম্ভাবনাও কমে যায়। যাঁরা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনে ভুগছেন তাঁরা রস ছাড়া গরম রসগোল্লা খেতে পারলে ভাল।
বছরে মাত্র এই একটা সময়েই আম পাওয়া যায়। আর তাই আম প্রেমীরা এই গরম কালের জন্য সারা বছর প্রতীক্ষায় থাকেন। বাজার এখন ছেয়ে গেছে হরেক আমের সম্ভারে। হলুদ পাকা আমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়াও থাকে নানা ভিটামিন। সব মিলিয়ে পুষ্টিতে ভরপুর হল আম। আমের মধ্যে রয়েছে গ্যালোটেনিন এবং ম্যাঙ্গিফেরিন নামের দুটো রাসায়নিক উপাদান। যা ওবেসিটি নিয়ন্ত্রণে রাখে। কোষ্ঠকাঠিন্য বা আলসারের সমস্যায় ভুগলে সেক্ষেত্রে খুব ভাল কাজ করে আম। ত্বকের জন্যও উপকারী আম।
View this post on Instagram
রসগোল্লা আর আম কি একসঙ্গে খাওয়া ভাল?
অম মরশুমি ফল। বছরে একবারই পাওয়া যায়। তাই আম খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। এক্ষেত্রে সবচাইতে ভাল যদি ব্রেকফাস্টে আম খাওয়া যায়। ভাতের সঙ্গে আম খেলে সুগার বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে কোনও মিষ্টি ভুলেও নয়। বিশেষত যাঁরা ডায়াবেটিক। এতে হু হু করে বাড়বে রক্তশর্করার পরিমাণ। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁদের জন্যেও খারাপ। ভাত, আম, রসগোল্লা সবই কার্বোহাইড্রেটে ভরপুর। এরসহ্গে একবাটি পায়েস আর পাঁঠার মাংস থাকলে তো কথাই নেই। তবে হজমের এক্বারে বারোটা বেজে যাবে। একমাত্র যাঁরা প্রচুর ওয়ার্ক আউট করেন তাঁরাই খেতে পারেন এই আম-রসগোল্লার কম্বিনেশন।