শীতকালীন সবজি হিসেবে শিম হল অন্যতম। অন্যান্য সময়েও শিম পাওয়া যায়, কিন্তু শীতকালীন শিমের স্বাদ ও পুষ্টি অন্য কোনও সময়ে তা পাওয়া যায় না। শুধু রসনাবিলাসই নয়, অন্যান্য খাদ্যগুণও রয়েছে। শিমে প্রচুর পরিমানে প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন ও মিনারেল থাকে। শিমে ক্যালরির পরিমান বেশ কম থাকে। তাই যাঁরা সরাসরি প্রোটিন খান না, তাঁরা শিম খেতে পারেন। খাদ্যগুণের পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্চাতেও দারুণ উপকারী এই শিম। শীতে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। পরিচর্চার অভাবে চামড়ার উপরিভাগ ফেটেও যায়। নিয়মিত শিম মাখলে উজ্জ্বল ও নরম থাকে ত্বক। চর্মরোগও উধাও হয়ে যায়। এমন গুণের বাহার খুব কম সবজির মধ্যেই পাওয়া যায়। বাজারে যতদিন শিম পাওয়া যায়, প্রতিদিনের খাদ্যসঙ্গী করুন। সেক্ষেত্রে শিম অনেকরই প্রিয় নয়। তরকারিতে শিম পড়লে তা বাদ দিয়ে খান। কিন্তু এই শিম দিয়েই নানারকম অসাধারণ স্বাদের রান্না করা যায়। রোজকার খাবারে ট্যুইস্ট আনতে তাই বানিয়ে ফেলুন শিমের ভর্তা। কীভাবে বানাবেন, কী কী লাগবে এই রেসিপিটি বানাতে, তা দেখে নিন একনজরে…
উপকরণ
২০০ গ্রাম শিম
১টেবিল চামচ সর্ষে দানা
১টেবিল চামচ পোস্তদানা
২-৩ টেবিল চামচ নারকেল কোরা
২-৩ টে কাঁচা মরিচ কুচি
১/৪ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১/২ চা চামচ কালো জিরা
স্বাদ মত নুন ও চিনি
পরিমাণ মত সর্ষের তেল
পদ্ধতি
শিম ভালো করে ধুয়ে বেটে নিন। সর্ষে, পোস্ত দানা, নারকেল কোরা ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে আরও একটা পেস্ট বানান। এবার আভেনে একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। তেল গরম হলে তাতে কালো জিরা ও কাঁচা মরিচ কুচি ফোড়ণ দিয়ে নেড়ে শিমের পেস্টটি দিয়ে দিন। কয়েক মিনিট ভাল করে কষিয়ে নিন। এরপর নুন হলুদ দিয়ে আরও কয়েক মিনিট রান্না করুন। শিমের কাঁচা ভাব দুর হলে সর্ষে পোস্তদানা বাটা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিন। স্বাদমত চিনি দিয়ে রান্না করুন। রান্না হয়ে গেলে কাঁচা সরষের তেল দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। গরম সেদ্ধ ভাতেের সঙ্গে পরিবেশন করুন জিভে জল আনা এই দুরন্ত রেসিপিটি।
তথ্য সূত্র- কুকপ্যাড
আরও পড়ুন: Coffee Recipe: ওজন কমানোর অনেক উপায় তো ট্রাই করলেন, এবার প্রতিদিন সকালে খান এই ‘ম্যাজিক’ কফি!