ভুলে যাওয়া কিংবা কানে কম শোনা- এসন সব সমস্যা বয়স বাড়ার সঙ্গে আসে। সাধারণত ৬৫ পেরোলেই অনেকে স্মৃতিশক্তি লোপ, ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়ার মত নানা সমস্যায় ভোগেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা কথা ভুলে যান। ৫ মিনিট আগে কি বলেছেন ৫ মিনিট পর তা আর মনে রাখতে পারেন না। এই রকম সমস্যাকেই ডাক্তারি পরিভাষায় বলা হয় অ্যালঝাইমার্স। আজকাল অনেক কম বয়সীদের মধ্যেও কিন্তু এই সমস্যা দেখা যায়। আর এর কারণ হিসেবে উঠে আসছে দূষণ এবং মানসিক চাপ। কিন্তু কী ভাবে এই অ্যালঝাইমার্সের সঙ্গে লড়াই করবেন, ওষুধই বা কী খাবেন সেই সম্পর্কে এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। তবে নিয়মিত ব্যায়াম, সাঁতার এবং ডায়েট মেনে চলতে পারলে কিন্তু এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
অ্যালঝাইমার্স কিংবা ডিমনেশিয়ার ক্ষেত্রে কিন্তু চিকিৎসকরা বার বার জোর দিচ্ছেন দৈনন্দিন জীবনযাপনে। প্রতিদিন আপনি কী খাচ্ছেন, কী ভাবে নিজের জীবন-যাপন করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনি নিজে কতটা সুস্থ থাকবেন। ভারতীয় মশলার কিন্তু বেশ কিছু গুণ রয়েছে। যে কারণে রান্নায় মশলার গুরুত্ব এত বেশি। প্রাচীন কালে ভারতীয় মশলা ব্যবহার করে বিভিন্ন ওষুধও বানানো হত। আমাদের দেশের বেশিরভাগ রান্নাতেই মশলা হিসেবে ব্যবহার করা হয় জিরে এবং দারুচিনি। একটি বীজ অন্যটি ছাল। আর এই দুই মশলাতেই রয়েছে পলিফেনল। পলিফেলন কিন্তু মস্তিষ্কের কাজ ভাল রাখে তেমনই স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেকা গিয়েছে পলিফেলন কিন্তু মস্তিষ্কের নানা সমস্যাতেও বেশ ভাল কাজ করে। অনেক সময় মস্তিষ্কের কোশে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। আর মস্তিষ্কে অক্সিজেন কম গেলেই সেখান থেকে নানা সমস্যা দেখা দেয়। পলিফেলন নিউরোনের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। স্মৃতিশক্তি উর্বর করে। এছাড়াও জিরে, দারুচিনির মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। রক্তনালীর কার্যতারিতা বজায় রাখে, এতে শরীরে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকলে হার্চের সমস্যাও থাকে দূরে। আমিষ কিংবা নিরামিষ যে কোনও রান্নাতেই কিন্তু প্রধান মশলা হিসেবে থাকে দারুচিনি, জিরে।
তবে একটা জিনিস আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে, ৩০-৪০ বছর বয়সে আমরা যে লাইফস্টাইলটা মেনে চলি বয়সকালে কিন্তু তা মেনে চলা সম্ভব নয়। সেই বয়সে শরীরের উপর যত অত্যাচার করা হয় তার ফল কিন্তু ভুগতে হয় পরবর্তীতে। তাই প্রথম থেকেই এমন কিছু করবেন না যা আপনাকে পরবর্তীতে সমস্যায় ফেলবে। বরং সময়ে খাবার খান, শরীরচর্চা করুন, বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকুন, সকলের সঙ্গে মিশুন, বাইরে ঘুরতে যান, বিভিন্ন কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন- এতে কিন্তু অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান সম্ভব।