চায়ের সবচেয়ে ভাল দিক হলো, কোনো বিশেষ ঋতুর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হয় না। যখন খুশি যেখানে ইচ্ছে চা খেতে পারেন আপনি। দুধ, জল, চা পাতা আর চিনি দিয়েই চা তৈরি করা যায়। এই চায়ের অনেকগুলি স্বাস্থ্যকর বিকল্পও রয়েছে। যেমন গ্রিন টি তার স্বাস্থ্য উপকারিতার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়াও কিছু কিছু ফুলের ফ্লেভারড চা হয় যা আপনার মনকে সমৃদ্ধ করতে পারে। চায়ের অনেকগুলি বৈচিত্র্য এবং স্বাদ রয়েছে, যেমন পেপারমেন্ট চা, লেবু চা, গোলাপ চা, আদা তুলসী চা ইত্যাদি।
আদা ও লেবু চা:
মশলাযুক্ত আদা এবং তাজা লেবুর সাথে সবুজ পাতার চা মিশিয়ে যে চা তৈরি হয় তা বহুদিন ধরে সকলেই খেয়ে আসছি। এই চা শুধু খেতেই ভাল যে তা নয়, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেও সমৃদ্ধ। এই চা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
তুলসী চা:
সবুজ চা পাতার একটি শক্তিশালী উদ্দীপক মিশ্রণ যার মধ্যে রয়েছে মোরিঙ্গা, তুলসী এবং সতেজ পুদিনা পাতা। এই মিশেল একটি অদ্ভুত ভাল স্বাদের চা তৈরি করে দেয় যা খুবই স্বাস্থ্যকর। এই চা খাওয়ার সময় তুলসীর একদম অল্প একটা গন্ধ পাওয়া যায়। সাথে মোরিঙ্গা আর মিন্টের সতেজ গন্ধে শরীরের সমস্ত ক্লান্তি এমনিই কেটে যায়।
গোলাপ চা:
গোলাপের পাপড়ি, হিবিস্কাস এবং স্পেয়ারমিন্টের সাথে চা পাতা মিহিয়ে এই চা তৈরি করা হয়। ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি চমৎকার উৎস এই চা যা স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়াতে পারে। গোলাপ চা স্বাভাবিকভাবেই ক্যাফিন মুক্ত। যন্ত্রণাদায়ক ক্র্যাম্প এবং ফুসকুড়ি মোকাবিলা করার জন্য এই চায়ের ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি গলা ব্যথা, হজমের সমস্যা, ব্যাকটেরিয়াল সমস্যা, ঘুমের প্যাটার্ন এবং উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে। এছাড়াও ওজন কমানো, হরমোনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার এবং ক্যান্সারের চিকিৎসাতেও সহায়তা করে।
জুঁই চা:
জুঁই ফুলের কুঁড়ি, ল্যাভেন্ডার, গাঁদার সাথে চা পাতা মিশিয়ে এই চা তৈরি করা হয়। এই চায়ের গন্ধ অত্যন্ত সুন্দর হয়। এই চায়ের মধ্যে সবুজ পাতা চায়ের তেজ আর জুঁই ফুলের মিষ্টি গন্ধ থাকে, যা একটা অদ্ভুত মিশ্রণে মন ভরিয়ে দেয়। এত সুন্দর এর গন্ধ হয় যে মানসিক একটা শান্তিও এই চা পান করলে পাওয়া যায়। ত্বকের যত্ন নিতে এই চা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসে তৈরি করুন ‘তরমুজ পিৎজা’