রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কীভাবে যত্ন নিতেন লম্বা দাড়ির? বিশ্ব কবির রূপচর্চার সিক্রেট ফাঁস
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী খেতেন, কী পোশার পরতেন, তা নিয়ে নানা প্রবন্ধতে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। তবে শুধুই রবীন্দ্রনাথ নয়, ঠাকুর বাড়ির অন্দর মহলের নানা গল্পই জনপ্রিয় গোটা বিশ্বের কাছে।

গত কয়েক বছর ধরে পুরুষদের ফ্যাশন দুনিয়া দখল করে রেখেছে দাড়ি। পুরুষদের এই স্টাইলিস্ট দাড়িকে সুন্দর করে তুলতে, বাজারে এখন প্রচুর প্রসাধনী পাওয়া যায়। বিরাট কোহলি থেকে ভিকি কৌশল, রণবীর কাপুর, বলিউডের তারকাদের মতো দাড়ি রাখতে সবাই এখন ছুটছেন পার্লারে। কিন্তু এক বাঙালি পুরুষ বহু আগেই গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন, দাড়ি কাকে বলে। লম্বা সাদা দাড়ি রেখেই নতুন ফ্যাশন ট্রেন্ড শুরু করেছিলেন তিনি। তবে বলা না, অরিজিনাল, আসলে অরিজিনালই হয়। হ্যাঁ, তিনি হলেন বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কী খেতেন, কী পোশার পরতেন, তা নিয়ে নানা প্রবন্ধতে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। তবে শুধুই রবীন্দ্রনাথ নয়, ঠাকুর বাড়ির অন্দর মহলের নানা গল্পই জনপ্রিয় গোটা বিশ্বের কাছে। ঠাকুর বাড়ির রান্না থেকে শুরু করে ঠাকুর বাড়ির ফ্যাশন নিয়ে নানা কৌতুহল। জানা যায়, সাজসজ্জার ব্যাপারে রবিঠাকুর ছিলেন খুবই খুঁতখুঁতে। তবে বাহারি পোশার তাঁর একেবারেই অপছন্দ ছিল। এক রঙের পোশাকই পরতে ভালবাসতেন। তবে তা হতে হবে ছিমছাম। রবিঠাকুর রূপচর্চাও করতেন। তবে কোনও বাজার চলতি প্রসাধনী দিয়ে নয়। বরং ঘরোয়া উপায়েই রোজকার রূপটান সারতেন তিনি।
জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মুম্বইবাসী এক মহিলা অনুরাগী নাকি আবদার করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। যেখানে উঠে এসেছিল দাড়ির প্রসঙ্গ। সেই মহিলা ভক্ত লিখেছিলেন, তুমি কখনই দাড়ি রেখো না। তোমাকে দাড়িতে মানাবে না। কিন্তু মহিলা ভক্তর সেই আবদার মানেননি কবি। বরং দাড়ি রেখেছিলেন সাধ করেই। নিয়মিত তার চর্চাও করতেন।
মাথার চুল ও দাড়িকে চকচকে, মসৃণ রাখতে রবিঠাকুর মাখতেন সরষে বাটা এবং ত্বককে পেলব ও ঝকঝকে রাখতে সরষে বাটার সঙ্গে ডালবাটা মাখতেন। চুল ও দাড়ি ধোয়ার সময় রিঠা ব্যবহার করতেন। শীত হোক বা গরম এই ছিল রবিঠাকুরের রূপটান।
তথ্যসূত্র- সৌরীন্দ্রমোহন মুখোপাধ্যায় ‘জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি’ রচনা Rabindranath Tagore : A Journey Through The Lenses
