
দুর্গাপুজোর (Durga Puja) নবমীর রাত হল উৎসবের চূড়ান্ত আনন্দ এবং জমকালো সাজের রাত। পাশাপাশি নবমীর রাত আপামর বাঙালির কাছে সম্ভবত খুবই কষ্টের একটা রাতও। কারণ ওই যে, পরদিন অর্থাৎ দশমীতেই বাপের বাড়ি ছেড়ে আবার উমা চলে যান কৈলাসে। তারপর চলে ফের একটা বছরের অপেক্ষা। তবে নবমীর আনন্দ তা বলে মাটি করার নেই। তাই এই রাতে সাজপোশাক কেমন হবে, তার কিছু আকর্ষণীয় আইডিয়া নিম্নে আলোচনা করা হল।
নবমীর রাতে সাজের মূল আকর্ষণ হতে পারে একটি ভারী কাজ করা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি, যেমন – বেনারসি, কাঞ্জিভরম বা ঢাকাই জামদানি। উজ্জ্বল রঙ (যেমন- গাঢ় নীল, মেরুন, রয়্যাল ব্লু) বেছে নিন।
যারা শাড়ির বাইরে কিছু পরতে চান, তারা বেছে নিতে পারেন জমকালো ফিউশন লেহেঙ্গা বা ফ্লোর-লেন্থ আনারকলি। এতে আধুনিকতা এবং উৎসবের ভাব—দুটিই বজায় থাকবে।
শাড়ির সঙ্গে ডিজাইনার বা কনট্রাস্ট ব্লাউজ পরুন। বোট নেক, হল্টার নেক, বা শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট সিক্যুইন কাজের ব্লাউজ আপনার সাজে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
নবমীর সাজে বড় আকারের লাল বা মেরুন টিপ পরতে পারেন। এটি আপনার ঐতিহ্যবাহী সাজকে সম্পূর্ণতা দেবে।
এই রাতে ভারী এবং ঐতিহ্যবাহী গয়না নির্বাচন করুন। একটি ভারী নেকলেস বা সীতাহার এবং মানানসই ঝুমকো আপনার সাজের সঙ্গে দারুণ মানাবে।
খোঁপাতে গোলাপ বা জুঁই ফুলের মালা জড়িয়ে নিন। এটি আপনার সাজে বাঙালি ছোঁয়া যোগ করবে এবং সুগন্ধও ছড়াবে।
মেকআপে চোখের সাজে কারুকাজ রাখুন। স্মোকি আইজ, ডাবল আইলাইনার বা উজ্জ্বল আইশ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন।
রাতে সাজের পূর্ণতা আনতে গাঢ় রঙের লিপস্টিক (যেমন- ডিপ রেড, ওয়াইন বা হট পিঙ্ক) ব্যবহার করুন। এটি আপনার পুরো লুককে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে।
ভারী হ্যান্ড ব্যাগ না নিয়ে, সাজের সঙ্গে মানানসই সিক্যুইন বা এম্ব্রয়ডারি করা ক্লাচ ব্যাগ নিন। এতে আপনার স্টাইলিশ লুক বজায় থাকবে।
সারারাত প্যান্ডেল হপিং করতে হবে। তাই স্টাইলের সঙ্গে আরামও জরুরি। শাড়ির নীচে হিলস না পরে ব্লক হিল বা প্ল্যাটফর্ম হিল বেছে নিতে পারেন, যাতে পায়ে ব্যথা না হয়।