ঘামের দুর্গন্ধে প্রেমিকা কাছে আসছে না? এই উপায়ে মুগ্ধ করুন তাঁকে
বিশেষ করে যদি কাছের মানুষ আপনার কাছাকাছি আসতে অস্বস্তি বোধ করে। তবে ঘামের গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া একেবারেই অসম্ভব নয়। কিছু সহজ অভ্যাস ও ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

ঘামের দুর্গন্ধ শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার অংশ হলেও, এটি আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দিতে পারে—বিশেষ করে যদি কাছের মানুষ আপনার কাছাকাছি আসতে অস্বস্তি বোধ করে। তবে ঘামের গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া একেবারেই অসম্ভব নয়। কিছু সহজ অভ্যাস ও ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।
১. নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: প্রতিদিন অন্তত দুইবার গোসল করুন, বিশেষ করে গরম বা আর্দ্র দিনে। বগলের নিচে, ঘাড়, পিঠ ও কুঁচকির মতো জায়গাগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। জীবাণুনাশক সাবান ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া কমে যায়—যেটিই আসলে ঘামের গন্ধের মূল কারণ।
২. সঠিক ডিওডরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পির্যান্ট ব্যবহার: ডিওডরেন্ট শুধু গন্ধ ঢাকে, কিন্তু অ্যান্টিপারস্পির্যান্ট ঘাম হওয়াটাই কমিয়ে দেয়। বাজারে অনেক অ্যালুমিনিয়ামযুক্ত অ্যান্টিপারস্পির্যান্ট পাওয়া যায় যা ঘামগ্রন্থির কার্যকারিতা কমায়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে লাগালে এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
৩. ঘাম শোষণকারী পোশাক পরুন: সুতির জামা পরুন, যা শরীরের ঘাম শোষণ করে রাখে এবং বাতাস চলাচলের সুযোগ দেয়। টাইট বা সিনথেটিক কাপড় পরলে ঘাম জমে দুর্গন্ধ বাড়ে। গরমকালে হালকা রঙের, ঢিলেঢালা জামাকাপড় বেছে নিন।
৪. খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন: পেঁয়াজ, রসুন, অতিরিক্ত ঝাল ও মসলা, ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল শরীরের ঘামের গন্ধ বাড়িয়ে দিতে পারে। বেশি জল পান করুন এবং শাকসবজি, ফলমূল খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
৫. ঘরোয়া উপায়: বগলের নিচে পাতিলেবুর রস বা অ্যাপেল সিডার ভিনেগার ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া নষ্ট হয়।
বেকিং সোডা ও নারকেল তেলের মিশ্রণ প্রাকৃতিক ডিওডরেন্ট হিসেবে কাজ করে।
গোলাপজল বা তুলসি পাতার রস দিয়েও ধোয়া যায়।
৬. অবাঞ্চিত লোম পরিষ্কার রাখুন: বগলের লোমে ঘাম ও ব্যাকটেরিয়া জমে দুর্গন্ধ বাড়ায়, তাই তা নিয়মিত পরিষ্কার রাখুন।
সবচেয়ে বড় কথা—নিজের প্রতি যত্ন নিন ও আত্মবিশ্বাস বজায় রাখুন। আপনি যদি নিজেকে ভালোবাসেন ও পরিপাটি রাখেন, তবে প্রেমিকা শুধু কাছে আসবে না, পাশে থাকবেও।
