
রাত ফুরোলেই মহাশিবরাত্রি। তার উপরে আবার আগামীকাল মহাকুম্ভের শেষ রাজকীয় স্নান তথা শেষ দিন। জ্যোতিষবিদরা বলছেন দুইয়ে মিলে এক অপূর্ব যোগ সৃষ্টি হয়েছে। এই দিন পুরুষ-নারী নির্বিশেষে ব্রত পালন করেন। উপবাস পালন করেই ব্রত পালন করেন ৮-৮০।
নিয়ম মতে সারা দিনে চার প্রহরে মহাদেবের পুজো করার পরে নিশীথ কালে শিব লিঙ্গে জল ঢেলে, চরণামৃত এবং পুজোর প্রসাদ খেয়ে তবেই উপোস ভাঙা চলে। দীর্ঘ ক্ষণ উপোস করে থাকলে শরীরে তার প্রভাব পড়বেই। তাই বাড়তি সতর্কতা অত্যন্ত আবশ্যক। না হলে পুজো করার আগেই হয়তো দেখলেন আপনি সংজ্ঞা হারিয়েছেন। মহাশিবরাত্রির দিন নিজেকে ফিট অ্যান্ড ফাইন রাখবেন কী ভাবে?
১। উপোস করে থাকবেন সুতরাং পেটে কিছু পড়বে না। জল খাওয়ার দিকে মন দিতেই হবে। কোনও ভাবেই যেন জল খাওয়া না কম হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে গেলে ঝিমিয়ে পড়বেন। রক্ত চাপ কমে যাওয়া, সুগার কমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পর্যাপ্ত জল অবশ্যই খান। পারলে জলের সঙ্গে মাঝে মাঝে দুধ, ঘোল বা ডাবের জল খেতে পারেন।
২। ভাজাভুজি, তৈলাক্ত বা মশলাদার কোনও খাবার খেয়ে উপোস ভাঙবেন না। সারা দিন খাবার ও জলের অভাবে শরীরে ডিহাইড্রেশন হয়। তার উপর অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবার খেলে শরীর আরও জল টানবে। শরীরে অস্বস্তিবোধ হবে। উপোস ভাঙার পর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জল খাওয়া। তাই অল্প অল্প জল খেতে থাকুন। ভাজাভুজি খেয়ে উপোস ভাঙলে অ্যাসিডিটি, বমি কিন্তু অবধারিত।
৩। উপোস করলে পর্যাপ্ত ঘুম যাতে হয় সে দিকে নজর রাখুন। আগের রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম কিন্তু মাস্ট। ঘুম সম্পূর্ণ হলে খিদে কম পাবে, শরীরও চাঙ্গা থাকবে।
৪। ধূমপানের অভ্যাস থাকলেও এই দিন সেটিকে বাদ দিন। এতে শরীর ভালো থাকবে।
৫। নিম্ন রক্ত চাপের রোগী হলে এই দিন বেশি রোদে রোদে ঘুরবেন না। এখনও গরম না পড়লেও দিনের বেলা তাপমাত্রা খুব একটা কম নয়। তার উপর রোদে রোদে ঘুরলে শরীর খারাপ অবধারিত।