Meat Keema Pitha: শীত শেষের পথে, মন চাইছে পিঠে খেতে; মিষ্টি নয়, ট্রাই করতে পারেন এভাবে
পৌষসংক্রান্তি তো পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পিঠে খাওয়ার ইচ্ছে তো যে কোনও সময় হতে পারে। শীত শেষ হওয়ার পথে। ফলে বাজারে সেই অর্থে আর পুলিপিঠে পাওয়া যাচ্ছে না। চিন্তা নেই, এ বার বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিন পিঠে।

পিঠে-পুলি বাঙালিদের এক ঐতিহ্যবাহী খাবার। পৌষসংক্রান্তির দিন বাঙালির হেঁশেল থেকে পিঠের মিষ্টি গন্ধ উড়ে আসে। পৌষসংক্রান্তি তো পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু পিঠে খাওয়ার ইচ্ছে তো যে কোনও সময় হতে পারে। শীত শেষ হওয়ার পথে। ফলে বাজারে সেই অর্থে আর পুলিপিঠে পাওয়া যাচ্ছে না। চিন্তা নেই, এ বার বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিন পিঠে। মিষ্টি পিঠে না বানিয়ে ট্রাই করুন একটু নোনতা, ঝাল পিঠে। এ পিঠে যে-সে পিঠে নয়, মাংসের কিমা পিঠে। বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরি দেশের নানা প্রান্তে বিভিন্ন ভাবে পিঠে রান্না করা হয়। পিঠের স্বাদ ও গন্ধে আজকাল আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। তেমনই এক আধুনিক পিঠে মাংসের কিমা পিঠে (Meat Keema Pitha)। জেনে নিন কীভাবে তা বানাবেন।
মাংসের কিমার পিঠে বানানোর উপকরণ – চালের গুঁড়ো ২ কাপ, হলুদ গুঁড়ো ১/২ চা চামচ, ধনেপাতা মিহি কুচি ২ চা চামচ, তেল (ভাজার জন্য)- পরিমাণমতো, জল -আড়াই কাপ, আদা-রসুনবাটা ১/২ চা চামচ, নুন ১ চা চামচ।
মাংসের কিমার পিঠের পুরের জন্য উপকরণ – আলু কুচি ১ কাপ, বাঁধাকপি কুচি ১ কাপ, আদা-রসুনবাটা ১/২ চা চামচ, পেঁয়াজ কুচি করে কাটা – ২টি, চিনি ১/২ চা চামচ, তেল ১ টেবিল চামচ, গাজরকুচি ১/২ কাপ, কিমা সেদ্ধ ১/২ কাপ, দারচিনি-এলাচগুঁড়ো ১/৪ চা চামচ, নুন ১ চা চামচ, কাঁচা লঙ্কাকুচি ১ চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালী – একটি হাঁড়িতে জল গরম করে হলুদ, নুন, আদাবাটা, চালের গুঁড়ো সেদ্ধ করে ধনেপাতা ও কাঁচা মরিচকুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। এরপর আটার কাই ভালো করে মেখে ১২টি ভাগে ভাগ করে রাখুন। এরপর ফ্রাইং প্যানে তেল গরম করে পেঁয়াজ ভেজে তাতে সবজি ও কিমা দিয়ে ভাজুন। জল শুকিয়ে গেলে দারচিনি-এলাচগুঁড়ো, নুন, কাঁচালঙ্কাকুচি মিশিয়ে নামান। এইভাবে পুর তৈরি হয়ে গেল। এরপর ভাগ করে রাখা এক একটা কাই থেকে রুটির মতো বেলে নিতে হবে। অর্ধেকটা পুর রেখে বাকিটা দিয়ে মুড়ে পুলিপিঠের মতো তৈরি করতে হবে। এরপর ডুবো তেলে পিঠে ভেজে নিয়ে গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন।
তথ্যসূত্র- বেণুদির হাজার রান্না





