Rasmalai Recipe: পেটুক ভাইয়ের মিষ্টিমুখ, বাড়িতেই বানান দোকানের মতো টেস্টি রসমালাই

রাখির মতো বিশেষ একটা দিনে যদি বাড়িতে কিছু মিষ্টি বানান, তা হলে তার থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না। এ বার বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু রসমালাই। রইল রেসিপি।

Rasmalai Recipe: পেটুক ভাইয়ের মিষ্টিমুখ, বাড়িতেই বানান দোকানের মতো টেস্টি রসমালাই
Rasmalai Recipe: পেটুক ভাইয়ের মিষ্টিমুখ, বাড়িতেই বানান দোকানের মতো টেস্টি রসমালাইImage Credit source: Pinterest

Aug 05, 2025 | 6:15 PM

আর মাত্র কয়েকটা দিন পর রাখি। ভাই-বোনেরা স্নেহের বন্ধন এইদিন অটুট রাখার জন্য হাতে রাখি পরায়। রাখির মতো বিশেষ একটা দিনে যদি বাড়িতে কিছু মিষ্টি বানান, তা হলে তার থেকে আনন্দের আর কিছু হয় না। এ বার বাড়িতে বানিয়ে নিন সুস্বাদু রসমালাই। এইভাবে রসমালাই বানালে যে কোনও তাবড় তাবড় দোকানকে করবে ফেল। পেটুক দাদা বা ভাই থাকলে তো কথা নেই!

রসমালাই বানানোর উপকরণ:

ছানা (রসগোল্লার জন্য): দুধ – ১ লিটার, লেবুর রস / ভিনিগার – ২ টেবিল চামচ, জল – ১ লিটার, চিনি – ১ কাপ।

দুধের মালাই বানানোর জন্য: দুধ – ১ লিটার, চিনি – ৫-৬ টেবিল চামচ (স্বাদমতো), এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ, কেশর (ইচ্ছে হলে), কাজু/বাদাম/পেস্তা কুচি – ২-৩ টেবিল চামচ,

রসমালাই কীভাবে বানাবেন: ছানা তৈরি করার জন্য দুধ ফুটিয়ে নিন। দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে লেবুর রস দিন, নাড়তে থাকুন যতক্ষণ না দুধ থেকে ছানা তৈরি হয়। দুধ কেটে গেলে পাতলা কাপড়ে ছেঁকে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে নিন যাতে টক ভাব না থাকে। পুরো জল ঝরিয়ে দিয়ে ৩০ মিনিট ঝুলিয়ে রাখুন। এরপর ছানাটা ভালো করে ১০ মিনিট মেখে নরম, মসৃণ ডো বানিয়ে নিন।

এ বার ছানার বল তৈরি করতে হবে। ছানা দিয়ে ছোট ছোট গোল বল তৈরি করুন। অন্যদিকে এক হাঁড়িতে ১ কাপ চিনি ও ৪ কাপ জল দিয়ে সিরা তৈরি করুন। সেই ফুটন্ত সিরায় ছানার বলগুলো দিন, ১২–১৫ মিনিট ঢেকে ফুটিয়ে নিন। বলগুলো ফুলে উঠলে ঠান্ডা জলে তুলে রাখুন।

এরপর রাবড়ি বা মালাই তৈরি করতে হবে। এক লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করে ফেলুন। ঘন করে নিন। চিনি, এলাচ গুঁড়ো, কেশর ও বাদাম কুচি দিন। ভালো করে মিশিয়ে ১০–১৫ মিনিট জ্বাল দিন, খেয়াল রাখবেন যেন নীচে না লেগে যায়।

এ বার ছানার বলগুলো আলতো করে চাপ দিয়ে হালকা জল ঝরিয়ে নিন। এগুলো ঘন দুধে দিয়ে দিন। ১–২ ঘণ্টা ফ্রিজে রেখে দিন যাতে ঠান্ডা হয় এবং দুধ শুষে নেয়। সবশেষে ঠান্ডা ঠান্ডা রসমালাই একটু পেস্তা কুচি আর কেশর ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। রাখির দিনে ভাই/বোনের মুখে নিশ্চিতভাবে হাসি ফুটবেই!