পুজোর ভিড়ে সোনার গয়না পরে বেরোনো যায় না। কখন কী হয়ে যায় তার ঠিক নেই। আবার এখন সময় বদলেছে। তাই সব কিছুতেই সোনার গয়না পরতে খুব একটা পছন্দ করেন না আধুনিকারা। তাছাড়া জিন্স-টপের সঙ্গে সোনার হার বা হাতে বালা খুব একটা ভাল লাগে না। তার বদলে বঙ্গ তনয়াদের গয়না বাক্সে জায়গা করে নিচ্ছে অন্য ধাঁচের গয়না। এই পুজোতে সাধারণ সাজেও অনন্যা হয়ে উঠতে হলে আপনাকেও কিন্তু মা-পিসিমাদের গয়না ছেড়ে সাজে আনতে হবে আধুনিকতার ছোঁয়া। এই পুজোয় কোন গয়না পরলে হয়ে উঠবেন মোহময়ী? রইল টিপস।
ট্রাইবাল জুয়েলারি – এক রঙের শাড়ি বা কুর্তি পছন্দ করলে সঙ্গে পরতে পারেন ট্রাইবাল জুয়েলারি। রংবেরঙের পুঁতি, কয়েন বা নুড়ি পাথর দিয়ে তৈরি ট্রাইবাল জুয়েলারি কিন্তু বেশ মানাবে। কেবল শাড়ি নয়, এক কাটের পোশাক হোক বা লং স্কার্ট, সব কিছুর সঙ্গেই এই গয়না পরলে আপনার সাজ অনন্য হতে বাধ্য।
জার্মান সিলভার – সাজে বৈচিত্র আনতে চাইলে জার্মান সিলভারের গয়নার উপরে ভরসা রাখুন। হাতের বালা থেকে, নাকের নলক কিংবা ছোট কানের দুল থেকে ভারী গলার হার, পাবেন সব কিছুই। আধুনিক এই গয়নায় আপনার পুজোর লুকে আসবে নতুনত্বের ছোঁয়া। এই পুজোতে একটু অন্য রকম সাজতে চাইলে পরে দেখুন এই ধরনের গয়না।
অক্সিডাইজড জুয়েলারি – জামাকাপর কিনেই পুজোর বাজেট শেষ? পকেটে টান পড়বে না এমন গয়নার খোঁজ চাইলে এই ধরনের গয়নাই সেরা। বাজারে এই ধরনের গয়নার দেখা খুব সহজেই পেয়ে যাবেন। এখন অনেকেই সোনা রূপো থেকে বেরিয়ে এসে বেছে নেন অক্সিডাইজড জুয়েলারি। শাড়ি, চুড়িদার সব ধরনের পোশাকের সঙ্গেই এই গয়না বেশ মানানসই।
কাপড়ের তৈরি গয়না – হাতে তৈরি গয়নাও কিন্তু বাজিমাত করতেই পারে আপনার পুজোর কেতায়। সুতি, কলমকারী ছাপা, চট বা গামছা হরেক রকমের ও নানা রঙের কাপড় দিয়েই তৈরি করা হয় এই গয়না। যাঁরা সব সময়ই নিজের সাজ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ভালবাসেন, তাঁরা চোখ বুজে বেছে নিতে পারেন এই গয়না।