নদী, সমুদ্র, পাহাড় নিয়ে মিশে রয়েছে কেরালা। পাহাড় হোক বা নদী যেখানেই যেতে চান না কেন আপনি অনাহাসে ভারতের এই রাজ্যকে বেছে নিতে পারেন। যেমন জলবায়ু তেমন মন মাতানো প্রাকৃতিক দৃশ্য- তাই এই রাজ্যে পর্যটকের আনাগোনাও বেশ ভাল। তাই জলকেন্দ্রিক পর্যটন কেন্দ্র গুলিকে আরও উন্নত করতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেরালা সরকার।
কেরালার পর্যটন মন্ত্রী পি এ মোহামেদ রিয়াসের তরফ থেকে জানা গেছে রাজ্যে পর্যটন ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করতে জোর দেওয়া হবে নদীতে। দক্ষিণের এই রাজ্যে নদীভিত্তিক পর্যটনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার কেরালার নদীগুলিকে সংযুক্ত করে একটি অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম সার্কিট তৈরি করার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানা গিয়েছে। রিয়াস জানিয়েছেন যে, এই সার্কিটের মূল পয়েন্ট গুলিতে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোর বিকাশ করা হবে। তার সাথে যখন জল পথের প্রকল্প শেষ হবে তখন এই প্রকল্প জলজ পর্যটনকে একটি অন্য রূপ দেবে।
কান্নুর জেলার আঞ্জারাকান্দি নদীতে রাফটিং-এর মত একাধিক অ্যাডভেঞ্চারের কথা মাথায় রেখেই কেরালা সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এই রাজ্যে নদী পর্যটনের উন্নয়ন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও গুরুতর প্রচেষ্টা করা হয়নি। অথচ কেরালার ব্যাক ওয়াটার গুলি পর্যটকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। তাই পর্যটন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এবার সরকার রাজ্যে নদী পর্যটন বিকাশের ওপর গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। এর প্রভাব পড়বে ট্যুরিজমে। বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা। বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যাও কেরালাতে কম নয়। তাই সেই কথা মাথায় রেখেই শুরু করা হয়েছে এই উদ্যোগ।
এই জলজ পর্যটন প্রকল্পটির মধ্যে কেরালা রাজ্যের প্রায় ১১টি জেলা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এই জেলা গুলিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে কেরালার নতুন জলজ পর্যটন কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, জলের পাশে এই রাস্তাকে কেন্দ্র করেই আরও প্রায় ৫০টি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠবে স্থলে। ওয়েস্ট কোস্ট ক্যানাল কোভালম থেকে কাসারাগোড পর্যন্ত চলবে এই প্রকল্প, যা প্রায় ৬৩৩ কিলোমিটার মত জায়গা।
কেরালার ব্যাকওয়াটার অঞ্চলগুলি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কেরালার ব্যাকওয়াটারগুলি আরব সাগরের উপকূলে অবস্থিত হ্রদ, খাল এবং নদী ইত্যাদির অংশ নিয়ে গঠিত। এই ব্যাকওয়াটার গুলির মনোরম দৃশ্যও বেশ নজরকাড়া। তাই জলজ ভ্রমণের তালিকায় কেরালাকে তালিকার প্রথমে রাখতে পারেন।