ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ইতালিয়ান সুপারন্যাচারাল ড্রামা ‘কারণ’ (Curon) দেখেছেন হয়তো। যদি না দেখে থাকেন, তাহলে আজই এই টেলিভিশন সিরিজের ৭টি এপিসোড দেখে নিতে পারেন। অসাধারণ একটি সিরিজের পিছনে রয়েছেত সত্যিকারের ঘটনা। সিরিজের পর্দায় যাই দেখুন না কেন, এবার সেই সিনেমার শেষটুকুও হয়তো বদলাতে হতে পারে। কারণ এই কয়েকদিন ঘটে গিয়েছে এক অকল্পনীয় বিপ্লব।
আরও পড়ুন: করোনাকালেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল গ্রিসের দরজা!
বেশ কয়েক দশক আগে ইতালির একটি লেকের নীচে একটি গোটা গ্রাম নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল। এই প্রথমবার সেই গ্রামের কয়েকটি অংশ আবিষ্কার করা গিয়েছে। দীর্ঘ ৭১ বছর পর, লেক রেজিয়া থেকে উদ্ধার হল সেই হারিয়ে যাওয়া গ্রামের ধ্বংসাবশেষ। ইতালির দক্ষিণ টাইরোলের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত এই কৃত্রিম হ্রদটিকে ঘিরে রয়েছে নানান অলৌকিক ঘটনা।
জানা যায়, এই হ্রদের জল সাময়িকভাবে শুকিয়ে যায়। তারপর ১৯৫০ সালে স্থানীয়দের উদ্যোগে একটি জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র তৈরি করার কাজকর্ম শুরু হয়। সেইসময় ওই গ্রামে প্রায় শতাধিক গ্রামবাসী বাস করতেন। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়, কেদারনাথ হরপা বাণ বা উত্তরাখণ্ড কাণ্ডের মতো এই হ্রদে নেমে আসে ভয়ংকর বন্যা। যার কারণে কারণের সেই গোটা গ্রাম ওই বন্যার জলে ডুবে যায়। আরও জানা যায়, প্রায় ৭১ বছর আগে, এই হ্রদের জল আটকে একটি বাঁধ তৈরির কাজ চলছিল।
আরও পড়ুন: অজানা বাঁধ-পাহাড়-জঙ্গল-জলপ্রপাতে ঘেরা এক রহস্যময় অচেনা ওড়িশা!
কাছাকাছি আরও দুটি হ্রদ একত্রিত করে পরিকল্পনামাফিক কাজ চলছিল। বন্যার কারণে দুটি হ্রদ একহয়ে ভয়াল রূপ ধারণ করে, তাতেই হারিয়ে যায় গ্রামটি। তাতে ১৬০টির বেশি বাড়িঘর ছিল বলে জানা হিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় হারিয়ে যাওয়া গ্রামের বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, কোনও বাড়ির সিঁড়ি, দেওয়াল, কাঠামো উঁকি মারছে হ্রদের মধ্যে থেকে। ওই গ্রামের সবচেয়ে বড় স্তম্ভটি এখনও হ্রদের বুক চিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে।, টেলিভিশন সিরিজের মূল অংশে রয়েছে সেই স্তম্ভটিও।