AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অজানা বাঁধ-পাহাড়-জঙ্গল-জলপ্রপাতে ঘেরা এক রহস্যময় অচেনা ওড়িশা!

করোনার জেরে আপাতত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়েছে এই রাজ্যের সরকার। তাও ঘরে বসে এখনই চিন্তা করে নিন লকডাউন উঠলে আগে কোথায় যাবেন?

অজানা বাঁধ-পাহাড়-জঙ্গল-জলপ্রপাতে ঘেরা এক রহস্যময় অচেনা ওড়িশা!
রহস্যময় অচেনা ওড়িশা!
| Updated on: May 19, 2021 | 12:39 PM
Share

অ্যাডভেঞ্চার হবে, আবার উপভোগ করা যাবে বিলাসিতাও! এমন সোনার পাথরবাটি আছে বইকি। শুধু পা রাখতে হবে ওড়িশার পূর্ব দিকে। মূলত রাজ্যের পূর্বদিকের নয়নাভিরাম বিস্তীর্ণ এলাকাকে খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের জন্য। ওড়িশার পর্যটন দপ্তর থেকে সম্প্রতি নেওয়া হয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। করা হয়েছে আরামদায়কভাবে ক্যাম্প করার সঙ্গে প্রকৃতির প্রকৃত রোমাঞ্চ উপভোগের ব্যবস্থাও। জায়গাগুলির সৌন্দর্য সত্যিই মনলোভা। একবার তাকালে চোখ ফেরানো যায় না। হাতছানি দিয়ে ডাকে—

হিরাকুঁদ: ওড়িশার সম্বলপুর এলাকায় রয়েছে ভারতের দীর্ঘতম হিরাকুঁদ বাঁধ। এখানে মিলবে বিলাসবহুল ক্যাম্প করার ব্যবস্থার সঙ্গে বিশালাকায় গম্ভীর ড্যাম ও জলাধার দেখার সুযোগ।

দেবড়িগড় অভায়রণ্য: হিরাকুঁদের পাশেই রয়েছে দেশের অন্যতম সেরা অভয়ারণ্য— দেবড়িগড় স্যাংচুয়ারি। ৩৪৭ বর্গকিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই অরণ্যে আছে গৌর, বুনো শুয়োর, সাম্বার হরিণ, ময়ূর এবং অসংখ্য রঙিন পাখি। রয়েছে গহীনঅরণ্যে জঙ্গল সাফারির সুযোগ।

আরও পড়ুন: বিশ্বের এমন বিপজ্জনক জায়গায় কখনও সাঁতার কাটবেন না, নামলেই মৃত্যু!

সমালেশ্বরী মন্দির: উড়িষ্যার অন্যতম বিখ্যাত মন্দির। জাগ্রত সমালেশ্বরী মায়ের প্রসিদ্ধি উড়িষ্যা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে ছত্তিশগড় অবধি। মনে করা হয় ১৫৪২ খ্রিস্টাব্দে চৌহান রাজা বলরাম দেব সমালেশ্বরী মায়ের মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেন। হেলে থাকা ।

হুমা মন্দির: সম্বলপুর থেকে মাত্র ২৩ কিমি দূরে মহানদীর তীরে প্রতিষ্ঠিত এই মন্দির। মন্দিরের প্রধান দেবতা মহাদেব। এখানে তিনি পূজিত হন বিমলেশ্বর নামে। মন্দিরটি ভারী অদ্ভুতভাবে একপাশে হেলে রয়েছে যা সত্যিই বিস্ময় জাগায়।

আরও পড়ুন : দেশের সুন্দর ও পরিস্কার রেলস্টেশনগুলির নাম জানা আছে?

খান্দাধর: প্রকৃতির বুনো সৌন্দর্য চাক্ষুষ করতে চাইলে আসতেই হবে খান্দাধর। বনরাজিতে ঘেরা খাড়া পাহাড়ের গা থেকে ঝরে পড়া বিস্ময়জাগানো জলপ্রপাতের জন্যই খান্দাধরের মূল খ্যাতি। খান্দা কথার অর্থ খাড়া। আর ধারা শব্দের অর্থ জলের ধারা। বৃক্ষ আর গুল্মে ঘেরা পাকদণ্ডী জঙ্গুলে পথ ধরে পৌঁছতে হয় সেই রহস্যময় জলপ্রপাতের ধারে। এককথায় অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য খান্দাধর আদর্শ জায়গা। ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতগুলির মধ্যে খান্দাধর ১২তম।

আরও পড়ুন: মলদ্বীপের মতো ভারতেও রয়েছে বিলাসবহুল ‘বিচ ভিলা’! কোথায় কোথায় জেনে নিন…