
দেখতে দেখতে কেটে গেল ভ্যালেন্টাইন উইক। শুরুটা হয়েছিল সেই ৭ ফেব্রুয়ারি রোজ ডে দিয়ে। এরপর প্রোপোজ ডে, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে, হাগ ডে, কিস ডে-র পর আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে (Valentine’s Day)। এই ৭ দিন ধরে কাপলরা একে অপরকে স্পেশাল ফিল করানোর জন্য কখনও এক তোড়া গোলাপ দিয়েছেন। আবার কখনও সঙ্গীরা একে অপরকে চকোলেট দিয়ে চেষ্টা করেছেন নিজের অনুভূতি জানানোর। এখানেই শেষ নয়। প্রেমের সপ্তাহে সঙ্গীর মন ভালো করতে সারপ্রাইজ গিফ্টও দিচ্ছেন কেউ কেউ। রয়েছে স্পেশাল লাঞ্চ, ডিনার এসবও। ফলে একদিক থেকে দেখতে গেলে, এত কিছু করতে পকেট থেকে খসছে অনেকটাই টাকা। এ বার যদি দেখেন মাসের মাঝখানে পকেটে পড়ছে টান, আর অসুবিধা হচ্ছে মনে, তা হলে কী করবেন? রইল সেই উপায়।
ভালোবাসার মানুষকে উপহার দিয়ে, তাঁর মুখে হাসি ফুটিয়ে কার না ভালো লাগে বলুন তো। কিন্তু যে সময় পকেটে পড়ে টান, তখন মনেও চাপ পড়তে শুরু করে। এমন সময় কী করা উচিত, জেনে নিন —
১. প্রেম সপ্তাহ সেলিব্রেশন করতে গিয়ে অনেক টাকা খরচ হওয়ার পর চাপ হতেই পারে। প্রয়োজন হলে মাসের বাকি দিনগুলোয় কীভাবে টাকা খরচ করবেন, তার একটা পরিকল্পনা করতে পারেন।
২. মনের উপর চাপ সৃষ্টি হলে পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে সেই পরিস্থিতির কথা পরিষ্কার করে বলতে পারেন। তাতে মন হালকা হতে পারে।
৩. যদি আর্থিক সমস্যা বেশি হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে প্রিয়জনের কাছে লজ্জা না করে সমস্যার কথা জানান। সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রিয়জন হয়তো পিছপা হবেন না।
৪. প্রেমের সপ্তাহ পালন করতে গিয়ে পকেট থেকে যদি অনেকটা টাকা খরচ হয়ে যায়, তা হলে খানিক সঞ্চয়ের দিকেও নজর দিতে পারেন। এই ধরুন, পরের মাসে শুরু থেকেই একটু সচেতন হয়ে খরচ করতে পারেন। পরের বছর যেন এমন সমস্যায় না পড়েন, তার জন্য এখন থেকেই অল্প অল্প টাকা প্রতি মাসে সঞ্চয় করতে পারেন।
৫. ভ্যালেন্টাইন উইক পালনের পর যদি কারও মনে হয় অনেকটাই টাকা খরচ হয়েছে (আসলে যদি আপনার সাধ্যের মধ্যেই খরচ হয়েছে), তা হলে মানসিক শান্তির জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোলেই ফুরফুরে লাগবে।