ভ্যালেন্টাইন্স ডে
ভ্যালেন্টাইন্স ডে পালন করা হয় সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসকের মৃত্য়ুদিনকে স্মরণ করার জন্য। ২৬৯ সালে ইতালির রোমে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে ওই খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। রোমে তখন খ্রিস্ট ধর্ম প্রচার করা ছিল অপরাধ। তখনই ধর্ম প্রচারে লিপ্ত হয়েছিলেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন। তৎকালীন রোম সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াসের সময়কালে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। প্রথমে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে বন্দি করা হয়; তারপর তাঁর মৃত্য়ুদণ্ডও দেওয়া হয়। দিনটা ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। পঞ্চম শতাব্দীর শেষের দিকে পোপ গেলাসিয়াস, ওই ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ হিসাবে ঘোষণা করেন। এরপর পশ্চিমি বিপণনের সৌজন্যে ভ্যালেন্টাইনস ডে পরিণত হয় প্রেম নিবেদনের আন্তর্জাতিক দিবস হিসেবে। এ যেন অনেকটা ‘বিশ্বজোড়া ফাঁদ’। আসলে বিশ্বজোড়া প্রেমের ফাঁদ: ‘প্রেমের ফাঁদ পাতা ভুবনে,. কে কোথা ধরা পড়ে, কে জানে।’ নয়ের দশকের শেষ দিকে বাঙালির কাছে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে আবির্ভূত হল ‘ভালবাসা মানে আর্চিজ় গ্যালারি’ হয়ে। গ্রিটিংস কার্ড থেকে শুরু করে গিফ্ট শপ থেকে প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য উপহার কেনা একপ্রকার রীতিতে পরিণত হল। সেই সঙ্গে রেস্তোরাঁয় ফাইন ডাইনিং। হিন্দি সিনেমা এবং পপুলার কালচারেও ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে প্রেম নিবেদনের দৃশ্য বা রেফারেন্স ভুরিভুরি। এই দিনটিকে কেন্দ্র করে চলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং বিপণির নিত্যনতুন অফার।বাঙালির কাছে অবশ্য চিরকালীন ভ্যালেন্টাইনস ডে হিসেবে সরস্বতী পুজোই পরিচিত। যদিও প্রেমের কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না, তবু ফি-বছর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলে ভ্যালেন্টাইনস ডে-র।