Shankh Benefits: দুর্গাপুজোয় শঙ্খ বাজানো মাস্ট, জানেন শাঁখ বাজালে শরীরের কী কী উপকার হয়?

উমার পুজোয় শঙ্খ বাজানো মাস্ট। আসলে শঙ্খ বাজানো হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র প্রথা। যা পূজা-আর্চা এবং বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ধর্মীয় তাৎপর্য ছাড়াও, নিয়মিত শঙ্খ বাজালে শারীরিক ও মানসিক বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়।

Shankh Benefits: দুর্গাপুজোয় শঙ্খ বাজানো মাস্ট, জানেন শাঁখ বাজালে শরীরের কী কী উপকার হয়?
দুর্গাপুজোয় শঙ্খ বাজানো মাস্ট, জানেন শাঁখ বাজালে শরীরের কী কী উপকার হয়?Image Credit source: Raj K Raj/HT via Getty Images

Sep 28, 2025 | 9:02 PM

দুর্গাপুজো (Durga Puja) আর ঢাকের আওয়াজ… যেন মিলেমিশে একাকার। উমার পুজোয় শঙ্খ বাজানো মাস্ট। আসলে শঙ্খ বাজানো হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র প্রথা। যা পূজা-আর্চা এবং বিভিন্ন শুভ অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়। ধর্মীয় তাৎপর্য ছাড়াও, নিয়মিত শঙ্খ বাজালে শারীরিক ও মানসিক বেশ কিছু উপকারিতা পাওয়া যায়। নিম্নে তা নিয়ে আলোচনা করা হল।

শঙ্খ বাজানোর শারীরিক উপকারিতা

১. ফুসফুসের ক্ষমতা বৃদ্ধি: শঙ্খ বাজানোর সময় গভীরভাবে শ্বাস নিতে হয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে শ্বাস ধরে রেখে বাতাস ছাড়তে হয়। এটি ফুসফুসের পেশিগুলোকে শক্তিশালী করে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শ্বাসতন্ত্রের ব্যায়াম হিসেবে কাজ করে।

২. শ্বাসযন্ত্রের স্বাস্থ্য: নিয়মিত শঙ্খ বাজালে ফুসফুস এবং শ্বাসযন্ত্রের মধ্য দিয়ে বায়ু চলাচল বাড়ে। এটি অ্যাজমা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে, কারণ এটি শ্বাসনালীকে সচল রাখে।

৩. থাইরয়েড গ্রন্থি সচল রাখা: শঙ্খ বাজানোর সময় যে চাপ তৈরি হয়, তা ঘাড়ের পেশি এবং থাইরয়েড গ্রন্থিকে উদ্দীপিত করে। এটি থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যকারিতা বজায় রাখতে পরোক্ষভাবে সাহায্য করতে পারে।

৪. মুখমণ্ডল ও মূত্রথলির ব্যায়াম: শঙ্খ বাজানোর সময় মুখের পেশি ও গলা শক্ত হয়, যা মুখের পেশিগুলোকে টোন করতে সাহায্য করে। কিছু প্রাচীন যোগশাস্ত্র অনুসারে, এটি মূত্রথলির পেশিগুলোকেও কিছুটা শক্তিশালী করতে পারে।

৫. রক্ত সঞ্চালন উন্নত করা: শঙ্খ বাজানোর জন্য যে শারীরিক চেষ্টা লাগে, তা সামগ্রিকভাবে রক্ত সঞ্চালনকে উন্নত করতে এবং শরীরের প্রতিটি অংশে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়াতে সাহায্য করে।

৬. মানসিক চাপ হ্রাস: শঙ্খ বাজানোর প্রক্রিয়াটি এক ধরনের প্রাণের ব্যায়াম। এটি মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়ক হতে পারে।

৭. ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি: শঙ্খের শব্দকে ইতিবাচক কম্পন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই শব্দ পরিবেশের নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তি ও শান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করে বলে মনে করা হয়।

৮. মনোযোগ বৃদ্ধি: শঙ্খ বাজানোর জন্য গভীর মনোযোগ ও স্থিরতার প্রয়োজন হয়। নিয়মিত অভ্যাস একাগ্রতা এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে।

৯. জীবাণু দূর করা : প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, শঙ্খের আওয়াজ এক ধরনের শব্দ তরঙ্গ তৈরি করে যা পরিবেশের ছোট ছোট জীবাণু ধ্বংস করতে বা তাদের বিস্তার কমাতে সাহায্য করে।

১০. ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক তাৎপর্য: ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে, শঙ্খ বাজানোকে ভগবানের আহ্বান হিসেবে মনে করা হয়। এটি পূজার অঙ্গ এবং আধ্যাত্মিক চেতনার উন্মেষ ঘটায়।