How To Detox Your Body: রোজ নিয়ম করে এই ৫ খাবারেই শরীরে জমে থাকা যাবতীয় ময়লা বেরিয়ে আসবে ১ সপ্তাহে
Detoxification: অ্যালকোহলের মধ্যে থাকে ইথানল। আর যা আমাদের বিপাক ক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। এই ইথানল যাতে না জমে তার জন্য কায়িক পরিশ্রম প্রচুর করতে হবে

শরীরে সমস্ত কিছুই নিয়ম করে চলতে থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস, খাওয়া-দাওয়া, ঘুম সবই সেই মত চলতে থাকে। শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অবিরাম কাজ করতে থাকে। কিডনি আমাদের শরীরে ছাঁকনি প্রক্রিয়ার কাজ করে। আর যাবতীয় টক্সিন এই কিডনির মাধ্যমেই নিষ্কাশিত হয়। শরীরে যদি কোনও কারণে ক্ষতিকর টক্সিন জমতে শুরু করে তা মোটেই ভাল ব্যাপার নয়। শরীর ভিতর থেকে পরিষ্কার রাখা ভীষণ জরুরি। আর তাই প্রথম থেকেই নিজেকে চেষ্টা করতে হবে। শরীর যাতে সম্পূর্ণ ভাবে ডিটক্সিফাই হয় সেইদিকে খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যকর এবং প্রাকৃতিক উপায়েই শরীর ডিটক্সিফাই করা যায়। নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করলে এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তবেই শরীরের ডিটক্সিফিকেশন হয়। জানুন রোজ কী কী খেলে শরীর ভিতর থেকে থাকবে পরিষ্কার।
শরীর থেকে ইউরিয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের মত টক্সিন বের করে দেওয়ার জন্য নিয়মিত হাইড্রেটেড থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই দিনের শুরু হোক একগ্লাস ইষদুষ্ণ জল দিয়ে। আর যদি লেবু দিয়ে খেতে হয় তাহলে ঠান্ডা জলে লেবু দিয়ে খান। তবে শরীর ভিতর থেকে ডিটক্সিফাই হবে আর হজম ক্ষমতাও বাড়বে। লেবুতে পেকটিন নামের এক রকম দ্রবণীয় ফাইবার থাকে। যে কারণে ডিটক্স ড্রিংক খুবই প্রয়োজনীয়।
যে ৫ খাবার শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করবে-
পুষ্টি এবং অ্যান্টিএক্সিডেন্ট রয়েছে এমন খাবার বেশি করে খেতে হবে। মচরশুঁটি, বেলপেপার, ব্রকলি, টকজাতীয় ফল এইসব বেশি করে খেতে হবে। গোটা মশলা, শাকসবজি, বাদাম এসব রোজ খেলে শরীর ভাল থাকবেই। শীতে অনেক সবজি পাওয়া যায়। রোজ একটা করে সবজির তরকারি খেতে ভুলবেন না
অ্যালকোহল একদম অল্প করে খেতে হবে। চেষ্টা করবেন না খাওয়ার। আর খেলেও তা খুব সীমিত হতে হবে। কারণ অ্যালকোহলের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে টক্সিনের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। আর অ্যালকোহল বেশি খেলে সেখান থেকে লিভারেরও ক্ষতি হতে পারে। অ্যালকোহলের মধ্যে থাকে ইথানল। আর যা আমাদের বিপাক ক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে। এই ইথানল যাতে না জমে তার জন্য কায়িক পরিশ্রম প্রচুর করতে হবে। লিভার ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গেও তার প্রভাব পড়ে। লিভার ঠিক রাখতে প্রথম থেকেই যত্নশীল হতে হবে।
ব্যায়াম খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক্ষেত্রে। রোজ ব্যায়াম করলে ক্ষতিকর টক্সিন শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপও থাকে নিয়ন্ত্রণে আর শরীর অনেক বেশি ঝরঝরে লাগে। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। ঘুম ঠিকমতো হলে শরীর সুস্থ থাকে, শরীরের অনেক সমস্যা সহজেই দূর হয়ে যায়।
