সংক্রান্তির ঠান্ডাতেও ত্বক থাকবে কোমল ও মসৃণ যদি ছাদবাগানের গাঁদা ফুল দিয়ে রূপচর্চা করেন
Marigold for Glowing Skin: ত্বকের যে কোনও সমস্যাকে দূর করে, মুখকে কোমল ও সতেজ করে তুলতে দুর্দান্ত কাজ করে গাঁদা ফুল। অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান রয়েছে গাঁদা ফুলের মধ্যে। যে কোনও কাটাছেঁড়ায় আপনি গাঁদা ফুল বা পাতাকে বেটে লাগাতে পারেন। এছাড়া গাঁদা ফুল ব্যবহার করলে মুখে বলিরেখা, দাগছোপ পড়বে না।

ঠাকুরঘরে ছাড়া গাঁদা ফুলের ব্যবহার খুব বেশি দেখা যায় না। অনেকে আবার পুজোর সময় ঘরও সাজান গাঁদা ফুলের পাপড়ি দিয়ে। কিন্তু শীত এলে ছাদবাগানে অনেকেই গাঁদা গাছ বসান। সার দিলে ফুলও হয় সুন্দর। এর বেশি খুব একটা কদর নেই গাঁদা ফুলের। যদি জানতে পারেন যে, গাঁদা ফুল দিয়ে আপনি এই শীতে ত্বকের জেল্লা বাড়াতে পারবেন, তাহলে কি এর কদর বাড়বে আপনার কাছে? ত্বকের যে কোনও সমস্যাকে দূর করে, মুখকে কোমল ও সতেজ করে তুলতে দুর্দান্ত কাজ করে গাঁদা ফুল।
অ্যান্টিসেপ্টিক উপাদান রয়েছে গাঁদা ফুলের মধ্যে। যে কোনও কাটাছেঁড়ায় আপনি গাঁদা ফুল বা পাতাকে বেটে লাগাতে পারেন। সংক্রমণের হাত থেকে দূরে রাখে এই ফুল। এছাড়া গাঁদা ফুল ব্যবহার করলে মুখে বলিরেখা, দাগছোপ পড়বে না। পাশাপাশি মুখের সেবাম উৎপাদনকে নিয়ন্ত্রণ করে। গাঁদা ফুল কীভাবে ব্যবহার করবেন, রইল টিপস।
১) দাগছোপ দূর করতে এবং মসৃণ ত্বক পেতে গাঁদা ফুলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করুন। তাজা গাঁদা ফুলের পাপাড়ি বেটে নিন। এতে দুধের সর এবং মধু মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি মুখে উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর বৃত্তাকারে ঘষে ঘষে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলবে।
২) দীপ্তিময়, উজ্জ্বল ত্বক পেতে আপনি টক দইয়ের সঙ্গে গাঁদা ফুলের ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। প্রথমে তাজা গাঁদা ফুলের পাপড়ি বেটে নিন। এবার এতে টক দই, লেবুর রস ও গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে মাখুন। ফেসপ্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়ার পর ময়েশ্চারাইজার মাখতে ভুলবেন না।
৩) শীতের ট্যান এক নিমেষে তুলে দিতে পারে গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের পাপাড়ি বেটে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ বেসন ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে নিন। তৈরি ফেসপ্যাক। এই ফেসপ্যাক আপনি মুখে, গলায় ও ঘাড়ে মেখে নিন। ফেসপ্যাক শুকনো হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই ফেসপ্যাক ব্যবহার করলেই পেয়ে যাবেন উজ্জ্বল ত্বক।
