আনন্দ, রঙ এবং মজার উৎসব হোলি। এই বিশেষ দিনে, বাচ্চা থেকে বড় সকলেই একে অপরের গায়ে রঙ লাগিয়ে হোলি উদযাপন করেন। কিন্তু এই রঙ আপনার চুলেরও ক্ষতি করতে পারে। রাসায়নিকযুক্ত রঙ চুলের আর্দ্রতা নষ্ট করে। ফলে শুষ্কতা, খুশকি, চুল পড়া এবং মাথার ত্বকের সংক্রমণের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
হোলি খেলার পর যদি আপনার চুলে রঙ আটকে যায় এবং বারবার ধোয়ার পরেও তা পরিষ্কার না হয় তাহলেই ঝামেলা। কী ভাবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন? রইল সেই টিপস।
১। হোলি খেলার পরে ভাল করে চুল আঁচড়ান। যাতে শুকনো রঙ সহজেই মুছে ফেলা যায়। চুলে জল দেওয়ার আগে, হাত দিয়ে অথবা শুকনো কাপড় দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। চুল না ঝেড়ে ধুয়ে ফেললে রঙ আরও বসে যেতে পারে। চুল বেশি জোরে ঘষবেন না, এতে চুল দুর্বল হয়ে যেতে পারে এবং ভেঙে যেতে পারে।
২। হোলি খেলার পর, নারকেল তেল, জলপাই তেল অথবা বাদাম তেল হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন যাতে তেল আপনার চুলে লেগে থাকা রঙ আলগা করে এবং ময়েশ্চারাইজ করে। তারপর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তেল লাগানোর ফলে রঙের প্রভাব কমে যায় এবং চুল আর্দ্র থাকে।
৩। চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সালফেট-মুক্ত বা মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ধোয়ার সময় হালকা গরম জল ব্যবহার করুন। খুব গরম গরম চুলকে আরও শুষ্ক করে তুলতে পারে। যদি একবারে রঙ পুরোপুরি না ওঠে, তাহলে পরের দিন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে আবার চুল ধোবেন। অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভাল।
৪। হোলির পরে চুল মেরামতের জন্য প্রাকৃতিক হেয়ার মাস্ক লাগানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো মাথার ত্বককে নরম করে এবং চুলকে আবার নরম ও রেশমি করে তোলে। দই ও মধুর মাস্ক, অ্যালোভেরা এবং নারকেল তেল অথবা মেথি ও দই দিয়ে চুলের মাস্ক তৈরি করে লাগাতে পারেন। এতে চুলের মাস্কগুলির শুষ্কতা কমবে, মাথার ত্বক মেরামত হবে এবং চুল সুস্থ থাকবে।