Kalimpong: পুজোর ছুটিতে কালিম্পং যাচ্ছেন? ঘুরে দেখতে পারেন এই ৩ অফবিট স্পট
Offbeat Destinations: সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বেশ জনপ্রিয় সন্তুক। রেলি নদীর তীরে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। তবে, বেশিরভাগ পর্যটক আপার সন্তুককেই বেছে নেন ছুটি কাটানোর জন্য। ভিড়ভাট্টা এড়াতে চাইলে আপনি লোয়ার সন্তুকেও থাকতে পারেন।
পুজোর ছুটিতে অনেকেই পাড়ি দেবেন কালিম্পংয়ে। কিন্তু কোন গ্রামে রাত কাটাবেন এবং কোনও পাহাড়ি জনপদ ঘুরে দেখবেন, সেটা প্ল্যান করেছেন কি? একটা সময় ছিল যখন কালিম্পং বলতেই বাঙালি লাভা-লোলেগাঁওয়ের কাছে। আজকাল এই দুটি গ্রামকে কেন্দ্র করে আরও অনেক পর্যটক কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এমনই ৩টি অফবিট পর্যটন কেন্দ্রের ঠিকানা রইল আপনার জন্য।
কালিম্পং জেলার ছোট্ট গ্রাম তন্দ্রেবং। নেওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত তন্দ্রেবং। কালিম্পং থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রাম। এখনও পর্যন্ত এখানে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। তাই প্রাকৃতিক নির্জনতা খুঁজলে চলে আসতে পারেন তন্দ্রেবংয়ে। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা যায় কাঞ্চনজঙ্ঘা ও হিমালয়ের অবয়ব। তন্দ্রেবংয়ের আশেপাশে রয়েছে লাভা, রিশপ, কোলাখাম। এছাড়া ঘুরে দেখতে পারেন চাঙ্গে জলপ্রপাত। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে প্রায় ১১৩ কিলোমিটারের পথ তন্দ্রেবং। গাড়িতে সময় লাগবে প্রায় ৩ ঘণ্টা। শেয়ার গাড়িও পাওয়া যায় কালিম্পং থেকে। এখানে হাতেগোনা কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে।
লোয়ার সন্তুক
সোশ্যাল মিডিয়ায় আজকাল বেশ জনপ্রিয় সন্তুক। রেলি নদীর তীরে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম। তবে, বেশিরভাগ পর্যটক আপার সন্তুককেই বেছে নেন ছুটি কাটানোর জন্য। ভিড়ভাট্টা এড়াতে চাইলে আপনি লোয়ার সন্তুকেও থাকতে পারেন। চারধারে সবুজে ঘেরা পাহাড়, মাঝখান দিয়ে অবিরাম বয়ে চলেছে রেলি নদী। এই নদীর ধারেই খুঁজে নিন রাত কাটানোর আস্তানা। লোয়ার সন্তুকে নদীর পাশে হোমস্টে রয়েছে। এখানে বসে কেটে যাবে সারাদিন। সঙ্গে মাছ ধরা ও মাছ খাওয়া দুটোই রয়েছে। সবচেয়ে মজার বিষয় হল, এই রেলি নদীর পার ধরে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে ট্রেক করতে পারবেন। এমনকী হোমস্টে পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্যও আপনাকে প্রায় ৫০০ মিটার হেঁটে নীচে নামতে হবে। শেয়ার গাড়িতে পৌঁছাতে পারেন লোয়ার সন্তুক। কালিম্পং বাজার কিংবা আলগরা থেকে লোয়ার সন্তুক যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন।
মারিংগাঁও
কালিম্পংয়ের অন্যতম ডেস্টিনেশন মারিংগাঁও। আলগরা থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই পাহাড়ি গ্রাম। তাই এখান থেকে গাড়িও পেয়ে যাবেন মারিংগাঁও পৌঁছানোর জন্য। প্রাকৃতিক নির্জনতার খোঁজে কালিম্পং বেড়াতে যেতে চাইলে, চলে আসুন মারিংগাঁওতে। এই গ্রাম মাত্র ৪০০ মানুষের বাস। আর এখানে আপনি বছরের যে কোনও সময় আসতে পারেন। এখান থেকে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন ইচ্ছেগাঁও, রামধুরা। থাকার জন্য হোমস্টের সুবিধাও রয়েছে।