চা বাগান, মাউন্ট এভারেস্ট, মোমো এইসব মাথায় এলে কোন নামটা মাথায় আসে? দার্জিলিং, তাই তো? কলকাতা থেকে সবচেয়ে কাছে পাহাড়ি গন্তব্য হল দার্জিলিং। এই শহর ‘কুইন অব হিলস’ বলেই পরিচিত। দার্জিলিং ম্যালে বসে এক কাপ গরম চা হাতে বৃষ্টি দেখা থেকে টয় ট্রেন জার্নি, সবটাই হবে একটা উইকেন্ডে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দার্জিলিং ঘুরে আসুন এই প্ল্যানমাফিক।
১) দিন শুরু করুন টাইগার হিলে সূর্যোদয় দেখা দিয়ে। আগের দিন রাতে ফোনে রাত ২টোয় অ্যালার্ম সেট করে ঘুমিয়ে পড়ুন টেনে। তারপর রেডি হয়ে সাড়ে ৩টের মধ্যে টাইগারহিলে পৌঁছতে হবে তো.. ভোর ৪টেয় সূর্যোদয় হয় সেখানে। মেঘ না থাকলে আপনি সৌভাগ্যবান হবেন, কারণ কাঞ্চনজঙ্গার পিছন থেকে এত সুন্দর সূর্যোদয় আর কোথাও দেখতে পাবেন না আপনি।
২) হোটেলে ফিরে একটা ফ্রেস দার্জিলিং টি দিয়ে দিন শুরু হোক আপনার।
৩) তারপর স্নান সেরে ফ্রেস হয়ে সোজা চলে যান দার্জিলিং ম্যালে। সেখানেই ব্রেকফাস্ট করার জন্য পরপর মোমোর দোকান পাবেন। পাহাড় দেখতে দেখতে মোমো খাওয়া। ম্যালে বড় মার্কেট রয়েছে, যা যা কেনাকাটি সেরে নিন সেখানেই।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি ভালবাসেন? প্যান্ডেমিকের পর ভারতের ৫ সেরা বৃষ্টির জায়গা ঘুরে মন ভিজিয়ে আসুন নিজের
৪) এরপর গন্তব্য টয় ট্রেন। ভারতের সবচেয়ে উঁচু রেলওয়ে স্টেশন এটি। পাহাড়ি পথে এই রোম্যান্টিক রেলযাত্রা না করলে আপনি মিস করবেন অনেক কিছুই।
৫) অনেক ঘোরা হল এবার ফিরে মধ্যাহ্নভোজের পর হোটেলে টানা রেস্ট নিয়ে নিন। বা আশপাশে ঢুঁ দিয়ে আসতে পারেন কিছুটা।
৬) পরদিন সকালে টেমি টি গার্ডেন ঘুরে আসুন। সবচেয়ে বড় চা-বাগান দার্জিলিঙে। এখানে মেয়েদের চা-পাতা তোলা দেখতে পাবেন। আপনিও পাহাড়ি মেয়ে সেজেগুজে ছবি তুলতে পারেন চা-বাগানে।
৭) এরপর লাঞ্চ করে চলে যান ভুটিয়া বুস্তি গুম্ফায়। পাহাড়ের চূড়ায় এই মনেস্ট্রিতে তিব্বতীয় ঘরানার যাবতীয় নিদর্শন দেখতে পাবেন আপনি। লামাদের জীবনযাপন দেখা হবে আপনার। তবে আর দেরি কীসের? প্যান্ডেমিকের পরেই চট করে ঘুরে আসুন দার্জিলিং থেকে।